[ad_1]
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় এজাহারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সোহাগের স্বজনেরা। একই সঙ্গে তাঁরা বলেছেন, মামলার এজাহার থেকে চার আসামির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম যুক্ত করারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তাঁরা। মানববন্ধনে মামলার বাদী ও সোহাগের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম, ভাগনি বীথি আক্তার, সোহাগের মেয়ে সোহানা আক্তার, সোহাগের স্ত্রী লাকী আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, মামলার এজাহারে ২ নম্বর আসামি সারোয়ার হোসেন টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পাশাপাশি হত্যার সঙ্গে পরিকল্পনায় যুক্ত থাকলেও আনোয়ারুল হক রনি ওরফে ভাইয়া রনি, কাইয়ুম মোল্লা, রাকেশ, মোজাফফর হোসেন বাবলুর নাম এজাহারে যুক্ত হয়নি। তাঁদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের হত্যার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অবিলম্বে সব আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’
তবে চারজনের নাম যুক্ত করার বিষয়ে বাদী মঞ্জুয়ারা বেগমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
মানববন্ধনে সোহাগের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন, ‘এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি সারোয়ার হোসেন টিটুকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি ভয়ংকর মানুষ। সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাইরে যেতে পারছি না। তাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি না। সব সময় একটা ভয় কাজ করছে। আমি এই হত্যার কঠিনতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
নতুন করে চারজন আসামির নাম যুক্ত করার দাবি জানিয়ে লাকী আক্তার বলেন, ‘পরিবার থেকে এজাহারে ২৩ জনের নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে হত্যায় যুক্ত আনোয়ারুল হক রনি ওরফে ভাইয়া রনি, কাইয়ুম মোল্লা, রাকেশ, মোজাফফর হোসেন বাবলুর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম যুক্ত করতে হবে। তাদের পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বাবুলর অফিসে বসে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু থানা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’
সোহাগের ভাগনি বীথি আক্তার বলেন, ‘আমার মামাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা আসল মাস্টারমাইন্ড তাদের আসামি করা হয়নি। তাদের নাম যুক্ত করতে হবে। আবার এজাহারের ২ নম্বর আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঘটনার সময় তার সঙ্গে দুটি মোবাইল ফোন ছিল, যা এখনো উদ্ধার করা হয়নি। আমরা হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
তবে আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ১৬ জুলাই সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছিলেন, ‘কোনো ঘটনার এজাহার একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী মাত্র। এজাহারে উল্লেখিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এ নারকীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এই ধরনের জঘন্য অপরাধের যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]