কোচ হতে চেয়েছিলেন জাভি, ‘না’ করে দিল ভারত


বার্সেলোনা থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর নতুন চাকরি খুঁজছেন জাভি হার্নান্দেজ। সুযোগ পেয়ে আবেদনও করেছেন ভারতের কোচ হওয়ার। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আর আলাপই করেনি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। যদিও জাভির আবেদন দেখে কিছুটা চমকে উঠেছিল তারা।
গত জুনে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে হারের পর ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন মানোলো মার্কেস। জরুরি ভিত্তিতে তাই কোচ খুঁজতে শুরু করে ভারত। আবেদনের তালিকায় ছিল দলটির সাবেক কোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন, লিভারপুল তারকা হ্যারি কুয়েল, ব্ল্যাকবার্নের সাবেক কোচ স্টিভ কিন, খালিদ জামিলসহ অনেকেই। তালিকার একেবারে শেষের দিকে ছিল জাভির নাম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ভারতের জাতীয় দলের পরিচালক সুব্রত পাল বলেন, ‘এটা ঠিক যে জাভির নাম সেখানে ছিল। এআইএফএফ-কে মেইলের মাধ্যমে আবেদন পাঠানো হয়েছে।’
আবেদনের সময় যোগাযোগের নম্বর দেননি জাভি। অথচ ভারত চাইলেই অন্য যোগাযোগ করতে পারত। কিন্তু জাভির পারিশ্রমিকের চাহিদায় সায় দিতে পারেনি তারা। ভারতের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘ধরুন জাভি সত্যিই ভারতীয় ফুটবলে আগ্রহী ছিলেন এবং তাঁকে এই দায়িত্ব নিতে রাজি করানো যেত। তবুও আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হতো।’
দ্য অ্যাথলেটিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাভি বলেছিলেন ভারতীয় ফুটবলের প্রতি তাঁর আগ্রহের কথা। সেখানে অনেক স্প্যানিশ কোচ কাজ করায় নিয়মিত ইন্ডিয়ান সুপার লিগের খেলা দেখতেন তিনি।
বার্সার হয়ে সাতশ’র বেশি ম্যাচ খেলা জাভির কোচিংয়ে হাতেখড়ি কাতারি ক্লাব আল সাদের হয়ে। সেখানে দুই বছর কাটিয়ে ২০২১ সালে বার্সার কোচ হন তিনি। একটি লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতালেও আড়াই মৌসুমের বেশি থিতু হতে পারেননি।
ভারতের টেকনিক্যাল কমিটি প্রধান কোচ হিসেবে তিনজনের নাম সুপারিশ করেছে নির্বাহী কমিটির কাছে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় একমাত্র দেশীয় কোচ হিসেবে আছেন জামিল। এছাড়া তালিকার অন্য দুজন কনস্টান্টাইন ও স্তেফান তারকোভিচ।