শিরোনাম

গাজায় অনাহারে মৃত্যু ১১৫, ইউরোপজুড়ে জোরালো হচ্ছে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান

গাজায় অনাহারে মৃত্যু ১১৫, ইউরোপজুড়ে জোরালো হচ্ছে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান

ইসরায়েলি বর্বরতায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় নিহত হলো আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার উপত্যকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ৬২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত মানবিক সংগঠন গাজা হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণকেন্দ্র ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন। নিহতদের মধ্যে দুজনের প্রাণ গেছে অপুষ্টিতে ভুগে।

কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপত্যকায় চলমান দুর্ভিক্ষে না খেতে পেয়ে প্রাণ হারালেন ১১৫ জন। চলতি বছর মার্চে গাজাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে ফেলে ইসরায়েল। এরপর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়। তবে, অভিজ্ঞ পুরোনো মানবিক সংস্থাগুলোকে সরিয়ে সেসব ত্রাণ বণ্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত নতুন এক মানবিক সংগঠন গাজা হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফকে। তবে, শুরু থেকেই এই সংগঠন বেশ বিতর্কিত। প্রতিদিনই এই সংগঠনের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গতকাল বৃহস্পতিবার এক বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সতর্ক করেছে শিগগিরই কোনো ব্যবস্থা না নিলে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে উপত্যকায়। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘ক্ষুধা চরম আকার ধারণ করেছে। এমনকি অভিভাবকেরা এতটাই ক্ষুধার্ত যে সন্তানের দেখভাল করতে পারছেন না। যারা আমাদের ক্লিনিকে আসছেন, তাদের চিকিৎসার নির্দেশনা অনুসরণ করার শক্তি, খাবার বা উপায় কিছুই নেই।’

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ অভিযোগ করেছে, গাজায় তাদের ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ যাচাই করতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর হতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহলও। গতকাল গাজা ইস্যুতে জরুরি বৈঠক ডাকতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাইজা কালাসকে চিঠি দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬০ জনেরও বেশি সদস্য। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য লিন বয়লান বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জীবনকে ইউক্রেনীয়দের জীবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন না ইউরোপীয় নেতারা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বললেই প্রতিক্রিয়া আসে, আক্রমণ শুরু হয়।’

এর আগে চলতি সপ্তাহেই গাজায় ত্রাণ সরবরাহে ইসরায়েলের বাধার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ চেয়েছে ইউরোপের ২৮ দেশ।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button