[ad_1]
যশোরের বেনাপোলে ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক সুজায়েতুজ্জামান প্রিন্স হত্যা মামলায় জেলার আলোচিত উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজানসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়ন্তী রানী দাস এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান মিজান শার্শা উপজেলার আমতলা গাতীপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী মোড়লের ছেলে এবং নিহত প্রিন্সের ভগ্নিপতি। অন্য তিনজন হলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটাডাঙ্গা গ্রামের গোলাম মণ্ডলের ছেলে ইকবাল হোসেন, বেনাপোল কাগজপুকুর গ্রামের কালু ওরফে ঘাড়কাটা কালুর ছেলে সেকেন্দার ও একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জসিম।
রায় ঘোষণার সময় মিজান ও সেকেন্দার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ তাঁদের কারাগারে নিয়ে যায়। অপর পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২০ আগস্ট প্রিন্স মোটরসাইকেল নিয়ে নিজ বাড়ি পোড়াবাড়ী নারায়ণপুর গ্রাম থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। তাঁর স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরদিন সকালে ছোট নিজামপুর গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর প্রিন্সের মামা বকতিয়ার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন। তিনি এজাহারে সন্দেহ প্রকাশ করেন, প্রিন্সের মোটরসাইকেলের প্রতি তাঁর ভগ্নিপতি মিজানের আগ্রহ ছিল।
মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল ছিনতাই করতেই প্রিন্সকে হত্যা করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আফজাল হোসেন ওই চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর মামলার রায় হয়।
জানা গেছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান আধুনিকতার যুগে সামান্য মোটর মেকানিক থেকে একের পর এক যন্ত্র উদ্ভাবন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর উদ্ভাবনী কাজের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, স্বয়ংক্রিয় সেচযন্ত্র, জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব যন্ত্র, যা ‘মিজান ইঞ্জিন’ নামে পরিচিতি পায়। স্থানীয় বাজারে মোটর মেকানিকের কাজের পাশাপাশি একটি ‘ফ্রি খাবার বাড়ি’ ছিল তাঁর। খাবার বাড়িটি শার্শার শ্যামলাগাছী এলাকায় অবস্থিত। সেখানে সপ্তাহে ভবঘুরে, ভিক্ষুক, গরিব ও অসহায় মানুষকে বিনা মূল্যে খাবার সরবরাহ করতেন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]