[ad_1]
টানা ৫৮ দিন ধরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা। রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তি এবং কেটে নেওয়া বেতন ও অন্যান্য ভাতা ফেরত পেতে দুই দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ২৭ মে থেকে লাগাতার এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
১৪ বছর আগে তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা, সাইবার সুরক্ষা এবং জেন্ডারবিষয়ক তথ্য ও পরামর্শসেবা দিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে শুরু হয় ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প। দেশের ৪৯২টি উপজেলায় ১ হাজার ৯৬৮ জন কর্মী এই প্রকল্পে কাজ করছিলেন। প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে একজন তথ্যসেবা কর্মকর্তা (দশম গ্রেড), দুজন সহকারী (১৬তম গ্রেড) এবং একজন অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) নিয়োজিত ছিলেন।
গত ২ জানুয়ারি হঠাৎ এক নোটিশে জুনে প্রকল্পটি শেষ হবে জানিয়ে প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যালয় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রকল্পের কর্মী সঙ্গীতা সরকার আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি চাকরির মতো আমরাও সব ধাপ পেরিয়ে চাকরি পেয়েছি। প্রকল্পের শুরু থেকেই আমাদের বলা হয়েছিল, নিয়মিতকরণ করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হবে। অরিয়েন্টেশনের সময় প্রকল্প পরিচালক শাহনাজ বেগম নীনা নিজেই এই প্রতিশ্রুতি দেন।’
‘এই আশ্বাসের ভিত্তিতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছি আমরা। কিন্তু আজ আমরা রাস্তার ধারে মানবেতর জীবনযাপন করছি। মন্ত্রণালয় আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’
তাঁর অভিযোগ, পরিচালক তাঁদের বেতন থেকে প্রতি মাসে ২ হাজার ৪০০ টাকা করে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির খরচ হিসেবে কেটে নেন।
তিনি বলেন, ‘টানা ৫৮ দিন ধরে আন্দোলন করছি। এতে অনেকের মূত্রনালিতে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। কারও স্ক্যাবিস (চর্মরোগ) হয়েছে। কেউ কেউ শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। গত জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় অনেককে ওই মাসের বেতনও দেওয়া হয়নি। আমরা হাইকোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি। যত দিন আমাদের দাবির পক্ষে রায় না আসে, তত দিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]