[ad_1]
বাংলাদেশে এক নারীকে ধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে তীব্র জনরোষ দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) কুমিল্লার মুরাদনগরে বাবার বাড়িতে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে একাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ওই নারী জানান, তাঁর এক প্রতিবেশী জোর করে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে নির্যাতন করে। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও সামাজিক মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত ৩৬ বছর বয়সী ফজর আলীকে স্থানীয়রা পিটুনি দিলে তিনি আহত হন। তাঁর হাত ও পায়ে আঘাত লাগায় রোববার আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর থেকে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) রোববার এক বিবৃতিতে বলে, ‘একজন নারী নিজের বাড়িতে নিরাপদ না থাকলে তা রাষ্ট্রের ভয়াবহ ব্যর্থতা এবং নিরাপত্তাব্যবস্থার চূড়ান্ত অবনতির নির্দেশ দেয়।’ সংগঠনটি আরও উল্লেখ করে, ‘রাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে, এ ধরনের বর্বরতার কোনো স্থান বাংলাদেশে নেই।’
ঢাকাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে। তারা বলেছে, ‘ভিডিও ছড়ানোর বিষয়টি ওই নারীর ওপর ছিল দ্বিতীয়বারের মতো নিপীড়ন।’
সরকার জানিয়েছে, ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরাও ধর্ষণের এই ঘটনা দেখে মর্মাহত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছে। মূল অভিযুক্তসহ ভিডিও ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এর আগে, চলতি বছর বাংলাদেশে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর সে মারা গেলে সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। তখনো ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি ওঠে এবং নারী ও শিশু সুরক্ষা আইন সংস্কারের আহ্বান জানানো হয়। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের আইনি সংজ্ঞা নিয়েও স্পষ্টতা দাবি করেন, যা বর্তমানে অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]