জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ছাত্রশিবিরের ৩৬ দিনের কর্মসূচি


জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন, দলীয়করণ, হত্যা, গুম ও অবিচারের প্রতিবাদেই উঠে এসেছিল জুলাই অভ্যুত্থান। এক বছর পার হলেও ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ হয়নি, বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়নি; বরং নানা অপপ্রচার ও বিভাজনের চেষ্টায় জুলাই স্পিরিট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ‘জুলাই জাগরণ, নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে ছাত্রশিবির ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি করে। কর্মসূচিসমূহ হলো—
সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, রিসার্চ কনফারেন্স, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন; শহীদদের কবর জিয়ারত, শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়; শাখাভিত্তিক জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে ‘জুলাই দ্রোহ’ শিরোনামে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন; সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক প্লেসে ‘জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ শীর্ষক আলোকচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী; কালচারাল ফেস্ট আয়োজন; জুলাই গ্রাফিতি অঙ্কন।
৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচিসমূহের মধ্যে আরও রয়েছে—জুলাইয়ের গল্প ও স্মৃতি বলা, স্মৃতিলিখন, বক্তব্য, রচনা, বিতর্ক, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রভৃতি আয়োজন; শহীদদের নামে লাইব্রেরি/পাঠাগার প্রতিষ্ঠা; শহীদ পরিবার, আহত ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গাজীদের নিয়ে ‘ত্যাগীদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও পডকাস্টের আয়োজন; জুলাইয়ের ওপর সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ; জুলাই স্মৃতি লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান ও জুলাই প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও প্রদর্শনী এবং ‘Think Back to 36 July’ শিরোনামে ৩৬ দিনব্যাপী অনলাইন ক্যাম্পেইন।
ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে থাকবে ন্যায়বিচার, রাজনৈতিক সহনশীলতা ও বৈষম্যহীন সমাজ। প্রজন্মের হাতে ইনসাফভিত্তিক নেতৃত্ব তুলে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ তাঁরা ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচিকে সফল করতে ছাত্রসমাজসহ দেশবাসীর সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন।