[ad_1]
শনিবার রাতে আকাশপথে ইউক্রেনের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, আকাশপথে একযোগে ৫৩৭টি আক্রমণ চালানো হয়। এর মধ্যে ৪৭৭টি ড্রোন ছিল। এসব ড্রোনের বেশির ভাগই ছিল ইরানের তৈরি ‘শাহেদ’। এ ছাড়া ৬০টি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, অন্তত ২৪৯টি হামলা তারা প্রতিহত করেছে এবং বৈদ্যুতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ২২৬টি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, ‘রাশিয়া আমাদের জীবনের অবলম্বনগুলোকেই নিশানা করেছে।’
এই হামলায় মধ্য ইউক্রেনের চেরকাসি অঞ্চলে এক শিশুসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে এবং খেরসন অঞ্চলে একজন নিহত হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভে ড্রোন হামলায় একটি শিল্প এলাকায় আগুন ধরে যায় ও শহরের কিছু অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া মাইকোলাইভ ও ডনিপ্রোপেট্রভস্ক অঞ্চলের শিল্প স্থাপনাও আক্রান্ত হয়।
জেলেনস্কি জানান, এই আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে ইউক্রেন তার তৃতীয় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারিয়েছে। এটির পাইলট ম্যাক্সিম উস্তিমেঙ্কো সাতটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেন। কিন্তু শেষটির সময় তার বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তিনিও প্রাণ হারান।
এই আক্রমণের মাত্রা ও বিস্তৃতি নিয়ে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত বলেছেন, ‘ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মিলিয়ে এটি ছিল সবচেয়ে ব্যাপক আকাশ হামলা।’
জেলেনস্কি মত দিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার হাতে এমন সক্ষমতা থাকবে, ততক্ষণ এই যুদ্ধ থামবে না। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]