[ad_1]
গত ১৮ মাসে ছত্তিশগড়ে নকশালবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ৪৩৫ মাওবাদীকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে রেকর্ডসংখ্যক ৪৮ জন নারী মাওবাদী রয়েছেন। শনিবার (২৮ জুন) সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কর্তৃক প্রাপ্ত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের ২০ জুনের মধ্যে নিহত মোট মাওবাদীর মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ নারী মাওবাদী রয়েছেন। ২০০১ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ নারী নকশাল হতাহতের সংখ্যা। এ ছাড়া শুধু ২০২৫ সালে ১৯৯ মাওবাদী সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, যা বামপন্থী চরমপন্থার ওপর একটি বড় আঘাত বলে বিবেচিত হচ্ছে।
একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ইউএপিএ-এর (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন, ১৯৬৭) অধীনে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী) বছরের পর বছর কৌশলগতভাবে নারী ও তরুণীদের জোরপূর্বক ভুল পথে চালিত করে এবং প্রলুব্ধ করে তাঁদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাঁরা মানসিক, সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারসাজির শিকার হয়েছেন, যা তাঁদের নিজেদের জীবন সম্পর্কে সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।
জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরও বলেন, একবার যুক্ত হওয়ার পর নারী মাওবাদীদের খুব কম ক্ষমতা দেওয়া হতো বা পদোন্নতি দেওয়া হতো। পরিবর্তে সংঘর্ষের সময় তাঁদের পদাতিক সৈনিক এবং মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। অন্যদিকে সিনিয়র পুরুষ নেতারা থাকতেন সুরক্ষিত।
হতাহতের এই তথ্য মাওবাদীদের ক্রমবর্ধমান হতাশার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই ১৮ মাসে ১ হাজার ৪৫৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে এবং ১ হাজার ৪৬৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। কর্মকর্তারা এই পরিবর্তনকে নিরাপত্তা বাহিনীর অব্যাহত চাপ এবং প্রভাবিত অঞ্চলগুলোতে সরকারের পুনর্বাসন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রচেষ্টার ফল বলে মনে করছেন। এ ছাড়া এই পরিবর্তনগুলো অপারেশনাল সাফল্যের পাশাপাশি দীর্ঘকাল ধরে মাওবাদী প্রভাবে থাকা স্থানীয় জনগণের মনোভাব পরিবর্তনের প্রতিফলন। এদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ‘ভারত নকশালমুক্ত’ হবে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]