[ad_1]
দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না এই শিক্ষার্থীর। দুই বছর আগে বাবা মারা যান। শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনোরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপত্তি বাধে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। গত বৃহস্পতিবার তিনি যখন পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর মা। এ অবস্থায় মাকে নিয়ে ছুটতে হয় হাসপাতালে। এতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি করে ফেলেন। কিন্তু বিধি বড়ই কঠিন। দেরিতে আসায় তাঁকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। দুর্ভাগা এই মেয়ের নাম আনিসা আহমেদ। গত দুই দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে আলোচনা।
মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আনিসাকে এইচএসসির প্রথম পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করছে নেটিজেনদের অনেকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শুভাকাঙ্ক্ষীদের মনে প্রশ্ন, আনিসা কি পরীক্ষাটি দিতে পারবেন?
আনিসার পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়টি জানতে পেরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল তাঁর নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন, আনিসা পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। পরে ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। জানান, আনিসার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে সর্বাত্মক সহায়তা করবেন। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াবেন। তবে আনিসাকে যেন আদালতের দ্বারস্থ হতে না হয়, সেই প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি।
এদিকে প্রথম দিনের পরীক্ষা দিতে না পারা সেই এইচএসসি পরীক্ষার্থী আনিসাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগের বিষয়টি সরকারের ‘বিবেচনাধীন’ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল সকালে প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটি জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়টি দুঃখজনক। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব। ওই ঘটনার পরের দিনই তো বন্ধ ছিল, এ জন্য এখনো নির্দেশনা আসেনি। তবে আইন অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হয়।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]