[ad_1]
যমুনা সেতু থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে রেললাইন। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সেতুর পূর্ব পাড় থেকে রেললাইন খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর আগে নবনির্মিত যমুনা রেলওয়ে সেতু গত ১৮ মার্চ চালু হওয়ার পর থেকে যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে যমুনা রেলসেতু চালু হয়েছে। যে কারণে যমুনা সেতুর ওপর নির্মিত রেললাইনের আর প্রয়োজনীয়তা নেই। গতকাল থেকে রেললাইন (রেল ট্র্যাক) খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। রেললাইন খুলে ফেলার পর যমুনা সেতুর উত্তর-দক্ষিণ লেন আরও প্রশস্ত হবে।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, যমুনা সেতুর ওপর রেললাইনের আর প্রয়োজন নেই। তাই সেতু কর্তৃপক্ষ রেললাইন খুলে ফেলার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে চিঠি দেয়। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতুর রেললাইন খুলে ফেলা হলে শেষ হলে সেতু প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হবে। এতে সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ লেনে আট মিটার করে সড়ক প্রশস্ত হবে। এ কারণেই যানবাহন চলাচলে জায়গা বাড়বে। ফলে যানজট আর দুর্ভোগ হবে না।
জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ১০ এপ্রিল যমুনা বহুমুখী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় সেতুর ওপর কোনো রেলপথ ছিল না। পরে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলবাসীর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সেতুর ওপর উত্তর পাশে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয় রেলসেতু। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। সেতুর ওপর দ্রুত গতিতে ট্রেন চলাচলের কারণে ২০০৬ সালে প্রথমে সেতুর উত্তর লেনে ফাটল দেখা দেয়। পরে ফাটলটি সেতুর দক্ষিণ পাশেও ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেতুর ওপর ট্রেন চলাচলের গতিসীমা কমানো হয়।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]