[ad_1]
বিমা কোম্পানিকে ধোঁকা দিয়ে অর্থ আদায় করতে গিয়ে দুই পা হারানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তাইওয়ানিজ দুই যুবক ঝ্যাং ও লিয়াও। সম্প্রতি এক রায়ে তাদের দুজনকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত। পা হারানো ঝ্যাং-কে দুই বছর এবং লিয়াওকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঝ্যাংয়ের সাজা দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, লিয়াওই ছিল পুরো ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, পাঁচটি আলাদা কোম্পানিতে স্বাস্থ্য, জীবন, দুর্ঘটনা, ভ্রমণ, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাসহ প্রায় আট ধরনের বিমা করেন তিনি। তারপর কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে বন্ধু লিয়াওয়ের সঙ্গে মিলে একটি দুর্ঘটনার নাটক সাজান ঝাউ। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের তথ্যমতে, লিয়াওয়ের বাড়িতে একটি শুষ্ক বরফভর্তি (ড্রাই আইস) বালতিতে প্রায় ১০ ঘণ্টা পা ডুবিয়ে রাখেন ঝাউ। স্থানীয় সময় রাত ২টা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ওই অবস্থায় ছিলেন ঝাউ।
দুই দিন পর ঝ্যাং তাইপেইয়ের ম্যাকেকে মেমোরিয়াল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে যান। হাসপাতালে গেলে জানা যায়, তার উভয় পায়ের হাঁটুর নিচে তীব্র ফ্রস্টবাইট, হাড়ের পচন, রক্তে সংক্রমণ (সেপ্টিসেমিয়া), এবং মাসল ব্রেকডাউনের কারণে র্যাবডোমায়োলাইসিস নামের এক জটিল রোগ হয়েছে। পায়ের চতুর্থ স্তরের ফ্রস্টবাইটের কারণে তাঁর দুই পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন চিকিৎসকেরা।
এই অবস্থায় তাঁরা বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে মিথ্যা দাবি করেন যে, তে মোটরসাইকেল চালানোর সময় ফ্রস্টবাইটে আক্রান্ত হয়েছেন ঝ্যাং। পাঁচটি কোম্পানির আটটি বিমা নীতির আওতায় তাঁরা মোট ৪ কোটি ১২ লাখ নিউ তাইওয়ান ডলার (মার্কিন ডলারে প্রায় ১৪ লাখ) দাবি করেন। এর মধ্যে একটি কোম্পানি এনটিডি ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪২৭ টাকা প্রদান করলেও বাকি চারটি কোম্পানি অসঙ্গতি চিহ্নিত করে দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করে। পরে ওই পাঁচ বিমা কোম্পানি পুলিশে অভিযোগ জানায়। এরপর প্রসিকিউটররা তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আত্ম-আহতের সহায়তার অভিযোগে এনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]