[ad_1]
রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। তবে কে বা করা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার রাতে ঘটনার পরই এনসিপির পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন ভবন ও সড়কে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার রাতে তিনি বলেন, কাউকে সনাক্ত করা যায়নি। পটকা নাকি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনসিপির কার্যালয়ের নিচে অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তাদের কাছাকাছি মূল সড়কের উপর একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আখতারের সঙ্গে থাকা অন্তত চারজন আহত হন। সোমবার রাতে হামলার পরপর এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে এনসিপি।
তাৎক্ষণিক সমাবেশে সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি যখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে এবং নিবন্ধন নিচ্ছে তখনই ককটেল হামলা হয়েছে। হামলা করে এনসিপির লক্ষ্য থেকে সরানো যাবে না। এসময় হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।
এ ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে গত সোমবার মধ্য রাতেই রমনা থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে রোববার একই কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, পরপর দুইদিন একই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং সমর্থকদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এই ধরনের হামলা করা হয়েছে। সদস্যসচিবকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।
ঘটনার পর পর থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, র্যাব, বোম ডিসপোজাল টিমসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আশপাশের বিভিন্ন ভবন ও সড়কে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। গুরুত্ব সহকারে মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]