[ad_1]
ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটার নিজেকে মেলে ধরতে পারেন না। নাঈম শেখ তাঁদেরই একজন। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলেও ২০২৩ সালের পর বাংলাদেশের জার্সিতে আর তিনি খেলতে পারেননি। অবশেষে প্রায় ২ বছর পর ফিরলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে আজ ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলে অন্যতম চমক নাঈমের ২১ মাস পর বাংলাদেশ দলে ফেরা। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার দীর্ঘদিন পর কীভাবে ফিরলেন—মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তরে বিসিবি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘দল নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে আমরা নির্বাচকেরা আমরা সম্ভাব্য সেরা কম্বিনেশন এর কথা চিন্তা করি। ওপেনারের জায়গা তো একটা বিশেষায়িত জায়গা। সেটা ভাবতে গিয়ে বিকল্প এক ওপেনারের কথা চিন্তা করতে হয়। দলে তো তিন ওপেনার সাধারণত থাকে। এই মুহূর্তে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে ভালো কে এবং তাকে পাওয়া যাবে কিনা, সেই বিবেচনায় নাঈম শেখ এসছে দলে।’
বাংলাদেশ সবশেষ ওয়ানডে খেলেছে এ বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। সেই টুর্নামেন্টে সৌম্য সরকার এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। আইসিসির ইভেন্টের তিন মাস পর বাংলাদেশ যখন আবার ওয়ানডে খেলতে যাচ্ছে, সেই দলে স্বাভাবিকভাবেই অনেক পরিবর্তন এসেছে। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় লঙ্কা সিরিজে এমনিতেই নেই। এমনকি সৌম্যও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে নেই। সেই জায়গায় নাঈমকে প্রায় ২১ মাস পর ফেরানো হলো বাংলাদেশ দলে।
২০২৩ এশিয়া কাপের পর ২০২৩-২৪, ২০২৪-২৫—এই দুই মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৫৩৬ ও ৬১৮ রান করেছেন। যার মধ্যে এ বছরের ডিপিএলে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের জার্সিতে ১২১.৮৯ স্ট্রাইকরেট ও ৬১.৮০ গড়ে রান করেছেন। শ্রীলঙ্কা সিরিজে টপ অর্ডারে এখন তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাসের সঙ্গে যোগ হলেন নাঈম শেখ। যেখানে তানজিদ তামিম, ইমন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সিদ্ধহস্ত। নাঈমের ব্যাখ্যায় লিপু বলেন, ‘সৌম্যর জায়গায় অনেকেই এখন ভালো খেলছেন। তার বিকল্প হিসেবে নাঈম শেখ এলেন দলে। আমাদের যে দুজন এখন ওপেনিং করছেন, তারা যে ইন্টেন্টে ব্যাটিং করেন, নাঈম শেখও সেভাবে ব্যাটিং করেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সেই সক্ষমতা তিনি (নাঈম) দেখিয়েছেন। তিনি নিজেকে কিছুটা বদলেছেন।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌম্য খেলছেন ২০১৫ সালে। কিন্তু এই সময়ে জাতীয় দলে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারেননি। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব তো আছেই। এমনকি গত বছরের মার্চ থেকে একের পর এক চোটে পড়ছেন। যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে গত বছর ফিল্ডিংয়ে হাঁটু ও মাথায় বাজেভাবে চোট পান। এরপর সেই বছরের শেষে উইন্ডিজ সিরিজে আঙুলে ব্যথা পান। আর সবশেষ আরব আমিরাত সফরে গিয়েও তিনি খেলতে পারেননি কোনো ম্যাচ। লিপু বলেন, ‘সৌম্য সরকার আমাদের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে আছেন। সাম্প্রতিক সময়ে আপনি যদি একটু খেয়াল করেন, একটু ভেঙেই বলছি। প্রায় ১২-১৪ মাস ধরে দুর্ভাগ্যবশত তিনবার চোটে পড়েছেন। একটা জানেন যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চিটাগংয়ে যখন খেলছিলাম, সেখানে তাঁর এসিএল চোট হয় এবং মাথায় একটু ব্যথা পান। হাঁটুতে এসিএলের চোটটাই মেজর ছিল। সেই চোট থেকে সেরে উঠে আবার আসেন। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজে আঙুলে বড় একটা চোটে পড়েন। আঙুলে অনেকগুলো সেলাই দেওয়া লেগেছিল। অনেক দিন বাইরে ছিলেন।’
সৌম্যকে নিয়ে লিপু আরও বলেন, ‘অতি সম্প্রতি তাকে (সৌম্য) আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সিরিজের জন্য বিবেচনায় আনি। যখন বিবেচনা করা হয়, তখন তার ছোট একটা পিঠে ব্যথা ছিল। দুই দিনের মধ্যে সেরে উঠে খেলা উচিত ছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেরে উঠতে পারেননি। সেকারণেই সিরিজের কোনো ম্যাচই তিনি খেলতে পারেন না এবং পরবর্তী পাকিস্তান সিরিজে তাকে রাখা যায়নি। কারণ, ফিজিওর পরামর্শ অনুযায়ী তার পুনর্বাসনের জন্য সেরে উঠতে যথেষ্ট সময় দরকার।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]