[ad_1]
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে। ফলে খরচ বাড়ছে, পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে ব্যবসায়ীদের মুনাফায় ও বাজারে পণ্যের দামে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কেমিক্যাল ল্যাবের ‘হ্যাজমেট’ মেশিন এক বছর ধরে নষ্ট। বিকল্প হিসেবে খুলনা ও ঢাকা ল্যাবে নমুনা পাঠাতে হয়, যেখানে দীর্ঘ সময় লাগে। এতেই আমদানিকারকেরা অর্থদণ্ড ও ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। তবে এনবিআরের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় মেশিনটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পণ্যের বড় অংশ খাদ্যদ্রব্য ও শিল্পকলকারখানায় ব্যবহৃত কেমিক্যাল পণ্য। প্রতিবছর রাজস্ব আয়ের ৩০ শতাংশ আসে কেমিক্যাল পণ্য থেকে। এসব পণ্যের খালাসের আগে গুণগত মান পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। ল্যাবে দুটি আধুনিক মেশিন থাকা সত্ত্বেও ‘হ্যাজমেট’ মেশিনটি দীর্ঘ সময় ধরে অচল থাকায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
টেকনিশিয়ান তাপস জানান, মেশিন সচল করতে ১৫-১৭ লাখ টাকা প্রয়োজন; কিন্তু এনবিআরের বরাদ্দ না থাকার কারণে মেরামত করা হচ্ছে না। কেমিক্যাল পণ্যের মান পরীক্ষা করতে বাইরে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মিলন বলেন, রিপোর্ট আসতে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগে। প্রতি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে। বছরে সরকারের ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসে বেনাপোল কাস্টমস থেকে। এখানে যন্ত্র নষ্ট হলে মেরামতের জন্য বরাদ্দ না থাকা দুঃখজনক।
সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যের ৪০ শতাংশই বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালজাত। দ্রুত ল্যাব মেশিনটি মেরামতের জন্য এনবিআরের কাছে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]