[ad_1]
পাকিস্তান সরকার ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংকটকালে তাঁর ‘নির্ণায়ক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের’ স্বীকৃতি হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পাকিস্তান সরকারের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘অকারণ ও বেআইনি ভারতীয় আগ্রাসনের সাক্ষী হয়েছে, যা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার গুরুতর লঙ্ঘন। এতে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ নিরীহ মানুষের করুণ মৃত্যু ঘটেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ভারতের ওই আগ্রাসনের পর পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মাসৌস’ চালায়, যা ছিল ‘পরিমিত, দৃঢ় ও নিখুঁত সামরিক প্রতিক্রিয়া’—পোস্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তাতে আরও বলা হয়, এই প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের ‘আত্মরক্ষার মৌলিক অধিকার’ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছিল এবং ‘যুদ্ধ নিরুৎসাহিত করতে এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায়’ এটি সাবধানতার সঙ্গে পরিচালিত হয়, যাতে বেসামরিক প্রাণহানি না ঘটে।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, `যখন গোটা অঞ্চল অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অসাধারণ কৌশলগত দূরদৃষ্টি ও রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা দেখিয়েছেন। ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সঙ্গে দৃঢ় কূটনৈতিক সংলাপ চালিয়ে তিনি উত্তেজনা প্রশমনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন।’
পাকিস্তান সরকারের মতে, ট্রাম্প ‘একটি দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন এবং দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে সক্ষম হয়েছেন, যা গোটা অঞ্চল ও তার বাইরেও কোটি কোটি মানুষের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারত।’
পোস্টে আরও বলা হয়, এই হস্তক্ষেপ ট্রাম্পের ‘সত্যিকারের শান্তিকামী ভূমিকা এবং সংলাপের মাধ্যমে সংঘাত সমাধানের প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের সাক্ষ্য বহন করে।’ সরকার ট্রাম্পের ‘আন্তরিক প্রস্তাবের’ প্রশংসাও করেছে, যার মাধ্যমে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বিরোধ জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন—যা এই অঞ্চলের অস্থিরতার মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত।
পাকিস্তান সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি তখনই সম্ভব, যখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন হবে।’ পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ভারত-পাকিস্তান সংকটকালে ট্রাম্পের নেতৃত্ব ‘তাঁর বাস্তবধর্মী কূটনীতি ও কার্যকর শান্তি-প্রচেষ্টার উত্তরাধিকারকে’ স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
পোস্টের শেষে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে গাজা সংকট এবং ইরানকে ঘিরে চলমান উত্তেজনাসহ বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘নিষ্ঠাবান প্রচেষ্টা’ ভবিষ্যতেও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে বলে পাকিস্তান আশা করে।
ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত ও পাকিস্তান তাঁর মধ্যস্থতায় আলোচনা করে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়। তিনি দুই দেশকে যুদ্ধ নয়, বরং বাণিজ্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্রম মিশ্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলেছেন, মে মাসে চার দিনের সংঘর্ষের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি হয়, তা দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নয়।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]