[ad_1]
নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এক ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরীর বিরুদ্ধে। আজ বুধবার জেলা এলজিইডি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম সারোয়ার জাহান, তিনি মদন উপজেলার চানগাও গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি এলজিইডির প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার।
ভুক্তভোগী ও এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে সারোয়ার জাহান এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর রুমে বসে কথা বলছিলেন। ওই সময় সুমন নামের এক যুবক এসে সারোয়ার জাহানকে ডেকে বাইরে নিয়ে আসেন।
বাইরে এলে তাঁকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী। একপর্যায়ে ভবনের দোতলা থেকে মারধর করে নিচতলায় নিয়ে আসেন। অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আনসার সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে একটি রুমে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে সারোয়ার জাহান বলেন, ‘আমি অফিসে এসে নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সুমন নামের একজন এসে ডাক দিলে বাইরে যাই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী আমাকে মারধর শুরু করেন। এর সঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন।’
সারোয়ার জাহান আরও বলেন, ‘আমি একজন ঠিকাদার। অফিসে এলেও যদি আমাদের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে যাব কোথায়? ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে এমন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’ তবে তাঁকে কেন মারধর করা হয়েছে, এর কারণ তিনি জানেন না বলেও জানান।
নেত্রকোনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদার সারোয়ার জাহান আমার রুমে বসে কথা বলছিল। এমন সময় ছাত্রদল নেতা সুমন তাকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। পরে তাকে মারধর করা হয়। ওখানে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব ও সুমন ছিল বলে জেনেছি। আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, ‘ঠিকাদার সারোয়ার জাহানের সঙ্গে সুমন নামের একজনের কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি শুনে আমি এগিয়ে যাই। এখানে আমাকে অহেতুক জড়ানো হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
[ad_2]
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]