[ad_1]
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) খামার ও আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। উদ্দেশ্য—নজরদারি, অপরাধ দমন এবং সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, নিরাপত্তার বদলে এখানে চলছে একধরনের প্রহসন।
বিএডিসি খামার এলাকায় ঘুরতে গিয়ে দেখা গেল, বহু বছর বয়সী একটি লম্বা নারিকেল গাছের গায়ে বসানো হয়েছে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা। তিনতলা ভবনের সমান উঁচু গাছটি বুড়িয়ে গেছে, ওপরের দিকে ধরেছে ঘুন, শাখা-প্রশাখা নুয়ে পড়েছে নিচের দিকে। বাতাসে গাছের সঙ্গে ক্যামেরাও দোলে। ফলে ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ হয় ঝাপসা ও অস্পষ্ট।
এমন চিত্র দেখে হতাশ স্থানীয়রা। একজন সার ও বীজ ডিলার মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা দেখে তো মানুষ হাসবে। ক্যামেরা যেখানে বাতাসে দুলছে, সেখানে কীভাবে অপরাধীকে শনাক্ত করবে? একটু চিন্তা করলে একটা পাকা পিলার বসিয়ে স্থায়ীভাবে করা যেত। কিন্তু যা করা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ দায়িত্বহীনতা।’
নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে বলেন, ‘গাছে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো একটা কৌতুকের মতো শোনালেও বাস্তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক। এমন কাজ দেখে মনে হয়, প্রকৃত নিরাপত্তার চেয়ে বরাদ্দ খরচ করাই যেন আসল উদ্দেশ্য। এটি একধরনের প্রাতিষ্ঠানিক খামখেয়ালিপনা এবং জনগণের অর্থের অপচয়।’
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে ঠাকুরগাঁও বিএডিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আপৎকালীন মজুদ কর্মসূচি) শহীদুল্লাহ কায়সার অবশ্য তেমন গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, ‘যদি ক্যামেরা ভেঙে যায়, তখন দেখা যাবে। আপাতত তো ঠিক আছে।’
তবে এ বিষয়ে জানতে বিএডিসি খামার কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পরিচালক শারমিন আফরোজের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে ঠাকুরগাঁও সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গাছের গায়ে পেরেক মারা কিংবা ওজনদার কিছু ঝুলিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে গাছ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছুদিন আগেও আমরা সাইনবোর্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম গাছ থেকে খুলে দিয়েছি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্যও প্রচার চালানো হয়েছে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]