[ad_1]
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা অভিযোগে জেরবার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কমিশন বাণিজ্য, তদবির বাণিজ্য, দুর্নীতি, চাঁদাবাজির পর এবার তাদের এক কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে যৌন হয়রানির অভিযোগ।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের সঙ্গে এক নারীর ফোনালাপ ও তাকে মেসেঞ্জারে পাঠানো বার্তা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। শুরু থেকেই বলা হয়, ওই নারী এনসিপিরই একজন।
তুষারের সঙ্গে ওই অডিওকল ফাঁসের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে ফেসবুকে। নেটিজেনরা তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন এবং নারী কণ্ঠটি এনসিপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীনের বলে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়ানো হয়।
কিন্তু ফাঁস হওয়া অডিওকলে তুষারের সঙ্গে কথা বলা নারী যে তাজনূভা জাবীন নন, এরই মধ্যে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। তারপরও তাকে নিয়ে ফেসবুকে বা গণমাধ্যমে নারীবিদ্বেষী প্রচারণা থামেনি।
এর প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিওকল ফাঁসের ঘটনায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীনকে জড়িয়ে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং পতিত ফ্যাসিবাদী দলের নেতাকর্মীরা চরম কুরুচিপূর্ণ, যৌন হয়রানিমূলক ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। ইতিপূর্বে নানা সময় এনসিপির নারী নেত্রীদের লক্ষ্য করে একই ধরণের অবমাননাকর প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই ধরণের কুরুচিপূর্ণ প্রচার ও প্রোপাগান্ডা কেবল নারীর প্রতি অবমাননা ও নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি তাদের রাজনৈতিক কর্তাসত্তা ও সক্ষমতাকে অস্বীকার করা এবং রাজনৈতিক পরিসরকে সংকুচিত করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
এতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, এনসিপি নারীদের প্রতি এই ধরণের নিপীড়ন ও যৌন হয়রানিমূলক প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এই ধরণের প্রচারণা অব্যাহত থাকলে আগামীতে এনসিপি সব অনলাইন-অফলাইন নারী নির্যাতক ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে এবং সর্বশক্তি দিয়ে তা মোকাবেলা করবে।
এনসিপির বিজ্ঞপ্তির ঘণ্টখানেক পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর প্রতিক্রিয়া জানান তাজনূভা জাবীন। তিনি দলের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে চাই, এনসিপি বাংলাদেশের নারীদের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে কেন তারা এনসিপিকে সমর্থন করবে। শুধু কাগজে কলমে আর বক্তৃতায় না, কাজেও। বাস্তবায়নেও।’
তাজনূভা মনে করেন, এনসিপির নেতাদের উচিত, আগে নিজের দলের নারীদের যোগ্য নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করা। তারপর তাদের সংসদে নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি তোলা উচিত।
তিনি দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সংসদে নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবী বৃথা, যদি দলে আপনি যোগ্য নারী নেতৃত্ব তৈরি করতে সহযোগিতা না করেন। যে গণতান্ত্রিক উত্তরণ এনসিপি সংসদে, রাষ্ট্রে দেখতে চায়, সেটা তাকে আগে নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তাজনূভা বলেন, ‘অজানা, অচেনা, সাধারণ ঘরের যোগ্য দৃঢ়, শিক্ষিত নারীরা যাতে রাজনীতিতে এসে দেশের দিতে পারে, সেজন্য এনসিপিকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হতে হবে।’
নয়তো বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এনসিপির কোনও পার্থক্য থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই নেত্রী।
তার ভাষ্য, বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে কোনও রাজনৈতিক দল গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেয় নাই। এনসিপির সুযোগ আছে, এক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার।
আর এর জন্য কোনও গোপন বা কঠিন সমীকরণের প্রয়োজন হবে না বলে মনে করেন তিনি। নারী বিষয় উপেক্ষা করে বাংলাদেশে টেকসই রাজনীতি কখনোই সম্ভব নয় বলেও মত দেন তাজনূভা জাবীন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]