‘যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্য দোজখ হয়ে যাবে’


ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালায় তবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য দোজখে পরিণত হবে। তিনি আরও বলেছেন, ইরান কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের পক্ষে। তবে তাঁর দেশের ওপর বোমা হামলা অব্যাহত থাকলে আলোচনা সম্ভব নয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ বিবিসির প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা লাইস ডুসেটের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
খাতিবজাদেহকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ট্রাম্প যদি যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ান, তাহলে ইরান যখন ‘সব বিকল্প খোলা’ রাখার কথা বলে, তার অর্থ কী? জবাবে তিনি বলেন, ইরান কূটনীতি চায়। তবে, যতক্ষণ তাঁর দেশের ওপর বোমা হামলা চলছে, ততক্ষণ ‘কোনো আলোচনা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘যে মুহূর্তে এই আগ্রাসন বন্ধ হবে, অবশ্যই কূটনীতিই হবে প্রথম বিকল্প।’ খাতিবজাদেহ আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই যুদ্ধ আমেরিকান যুদ্ধ নয়।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কিন্তু যদি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এই যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিরকাল এমন একটি যুদ্ধের জন্য স্মরণ করা হবে যা তাঁর যুদ্ধ ছিল না, কিন্তু তাঁকে টেনে আনা হয়েছে। আর এমনটা হলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য দোজখে পরিণত হবে।’
গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পারমাণবিক চুক্তি মেনে নিলে সংঘাত এড়ানো যেত। তবে খাতিবজাদেহ বলেন, ট্রাম্পের এমন দাবি ভিত্তিহীন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল, কিন্তু ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়ে সেই প্রক্রিয়াকে ‘ভেস্তে দিয়েছে’।
খাতিবজাদেহকে আরও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে কিনা। তবে এই অভিযোগের জবাবে খাতিবজাদেহ বলেন, ‘এটা বাজে কথা। অনুমানের ওপর ভিত্তি করে যুদ্ধ শুরু করা যায় না।’ উল্টো তিনি ইসরায়েলকেই দায়ী করেন এবং বলেন, ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকা সত্ত্বেও তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।