শিরোনাম
যাদুকাটা ২ বালুমহাল ইজারাদারকে বুঝিয়ে দিয়ে বালু উত্তোলন শুরুসোনাগাজি-মিরসরাইয়ে ৫০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে জোর তৎপরতা‘প্রতিশোধ নয় বরং দয়া ও ক্ষমাই হলো সিরাতের প্রকৃত শিক্ষা’শিবিরকে শুভেচ্ছা জানানো সেই পোস্ট মুছে ফেলল পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীপ্রিয় জেন-জেড সন্তানেরা, আমি শিবপুরীতে—নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিঠিআমিরাতকে সহজেই হারাল ভারত – ক্রাইম জোন ২৪জাকসু নির্বাচন বৃহস্পতিবার, এখনো মেলেনি ডোপ টেস্টের ফলাফলবাবার দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করে খুন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালকসহ নিহত ২দক্ষিণখানে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
ক্যাম্পাস

বিশ্ববিদ্যালয় বাস থেকে পড়ে যবিপ্রবির ছাত্রী আহত

বিশ্ববিদ্যালয় বাস থেকে পড়ে যবিপ্রবির ছাত্রী আহত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের রাদিয়া রাশিদ শায়লা নামের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার সময় বাস চালক হঠাৎ গতি বাড়িয়ে দেয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়ায় চালিত বিআরটিসির ‘রজনীগন্ধা’ নামের বাস থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানান, ওই সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী বাস থেকে নামছিলেন। প্রথমে দুইজন নামার পরপরই আরেক ছাত্রী নামতে গেলে চালক হঠাৎ বাসটি ফুল স্পিডে চালু করেন। এতে ভারসাম্য হারিয়ে তিনি নিচে পড়ে যান। এসময় শিক্ষার্থীর চশমা ভেঙে যায় এবং কপালে কেটে রক্তক্ষরণ হয়। পাশাপাশি রাস্তায় পড়ে গিয়ে তার হাত-পায়ে মারাত্মক ব্যথা হয় এবং দাঁতে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে ৬ মাস ধরে ওষুধ চলিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।

ভুক্তভোগী রাদিয়া রাশিদ শায়লা বলেন, বিনোদিয়া পার্কে নামার সময় বাসের গতি ধীর হলে আমার বন্ধুরা সামনের গেট দিয়ে নামে। কিন্তু আমি পেছনের গেটের কাছে থাকার কারণে ঐ গেট দিয়েই নামার চেষ্টা করি। কিন্তু নামার সময় বাস চালক হঠাৎ বাসের গতি বাড়িয়ে দেন। এতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে পড়ে যাই। আমার দাঁত, কপাল এবং হাতে আঘাত লাগে। সবচেয়ে গুরুতর আঘাত দাঁতে। নামার সময় বাস চালকের উচিত সম্পূর্ণভাবে বাস থামানো। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য চলন্ত বাস থেকে নামা কঠিন।

এ ঘটনায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, দুর্ঘটনার জন্য চালকের গাফিলতিই মূল দায়। সবচেয়ে হতাশার বিষয় হলো ছাত্রীটি রাস্তায় পড়ে গেলেও বাসটি থামিয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দেওয়ার বাইরে কেউ নেমে খোঁজ নেননি। আশপাশের লোকজনও সাহায্যে এগোেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে বাস চালকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পরিবহন প্রশাসক ড. মো. শিমুল ইসলাম বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারি। আমি বাস চালকদের সাথে এ বিষয়ে একটি মিটিং করেছি। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতি দ্রুত একটি নোটিশ জারি করা হবে, যাতে ড্রাইভার ও শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে ওঠা-নামা ও চলাফেরার নির্দেশনা থাকবে। প্রত্যেক গাড়িতেই নোটিশ লাগানো হবে। আশা করি, এগুলো অনুসরণ করলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।



সালাউদ্দিন/সাএ



ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button