[ad_1]
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শত্রুতার জেরে পাল্টাপাল্টি হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিএনপির দুই নেতাসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে উপজেলার পৌরসভা এলাকার চালিয়াগোপ (কুড়তলা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ওই গ্রামের ইছাম উদ্দিন মাস্টার, তাঁর দুই মেয়ে রাজিয়া তান মার্জিয়া ও রুবাইয়া আক্তার শিখা, আবু তাহের, তাঁর স্ত্রী রাহেনা খাতুন ও তাঁর পুত্রবধূ আছমা আক্তার, সাদ্দামের স্ত্রী হুছনা আক্তার, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ ও তাঁর চাচাতো ভাই বিএনপির কর্মী নজরুল ইসলাম।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে চালিয়াগোপ গ্রামের মাজহারুল ইসলাম স্থানীয় কাতার বাজারে তাঁর ওষুধের দোকানে লোকজন নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ একই এলাকার রইছুদ্দিনের ছেলে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ পাশের একটি চায়ের দোকানে চা পান করতে এলে তাঁর ওপর হামলা হয়। মাজহারুল, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুমায়ুনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় গুরুতর আহত হয় শরীফ ও তাঁর চাচাতো ভাই বিএনপির কর্মী নজরুল ইসলাম। খবর পেয়ে শরীফের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যান। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন এবং মাজহারুল ইসলামের ওষুধের দোকান ভাঙচুর করে। এর জেরে বুধবার সকালে শরীফের পরিবারের শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ইছাম উদ্দিন মাস্টার ও সাদ্দামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এ ব্যাপারে আহত রাজিয়া তান মার্জিয়া ও রুবাইয়া আক্তার শিখা বলেন, ‘প্রতিপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে নেয়। বুধবার সকাল ৮টার দিকে শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। হামলাকারীরা আমাদের বাড়ির ১০টি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে এবং ঘরের দামি আসবাব লুটপাট করে নিয়ে যায়।’
ঈসামুদ্দিন মাস্টারের ছেলে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘৫০ বছরের বেশি সময় ধরে দুই পরিবারের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। ১২ বছর আগে জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই।’
প্রতিপক্ষের আহত বিএনপির কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ওপরে হামলা চালায়।’
পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন বলেন, ‘এগুলো কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে সংগঠিত হয়নি। একটি পরিবার বিএনপি আরেকটি পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে।’
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মঙ্গলবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন আহত হন। এই ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার জেরে বুধবার সকালে প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]