[ad_1]
লিফটকে পুনরায় মূলধনি যন্ত্রপাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া)।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি এমদাদ উর রহমানসহ সংগঠনের অন্য নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত লিফট মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে বিবেচিত হতো এবং এতে ন্যূনতম আমদানি শুল্ক ধার্য থাকত। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে লিফটকে বাণিজ্যিক পণ্যের ক্যাটেগরিতে স্থানান্তর করায় শুল্ক-কর অনেক বেড়ে যায়। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও লিফটকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবেই রাখা হয়েছে এবং নতুন করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় মোট শুল্ক-কর দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২৫.৭৫ শতাংশ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজার দরের তুলনায় আমদানি পর্যায়ে অতিরিক্ত মূল্যায়নের কারণে শুল্ক-কর বেড়ে গেছে। তারা বলেন, লিফটের যন্ত্রাংশের ৬৫ শতাংশ লোহা ও স্টিল, ২৫ শতাংশ কংক্রিট এবং ১০ শতাংশ ইলেকট্রনিক উপাদান দিয়ে তৈরি হলেও, বিগত সময়ে লিফটের মূল্য কেজি প্রতি ৩ ডলারে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত নয়।
সংগঠনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান বলেন, জুন মাসের আগে অর্ডারকৃত, প্রস্তুত ও বন্দরে থাকা সহস্রাধিক লিফট এখন বাড়তি করের আওতায় পড়বে, যদিও এসব লিফট আগের শুল্কহারেই বিক্রি করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হবে এবং ভোক্তারাও অনিশ্চয়তায় পড়বেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম বলেন, অতিরিক্ত শুল্ক-কর লিফটের দাম বাড়াবে, ফলে আবাসন খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে এই খাতের ব্যবসায়ী ও হাজারো কর্মী ক্ষতির মুখে পড়বেন। তিনি বলেন, বাজেট অনুমোদনের আগেই লিফটের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহার এবং একে আগের মতো মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]