[ad_1]
রাজনৈতিক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হোসেন। এদিকে চাল বিতরণে দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ইউনিয়নের ১১ ইউপি সদস্যের মধ্যে ৮ জন কারাগারে। অন্য তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্য জামিনে মুক্ত হলেও পরিষদের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। ফলে পরিষদের কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় জনগণ বিভিন্ন জরুরি সেবা নিতে চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছে।
এই সংকট মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রায়হান মুজিবকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি সীমিত পরিসরে পরিষদের জরুরি প্রশাসনিক ও নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তবে নির্বাচিত সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, ভাতা অনুমোদনসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
শালশিরি গ্রামের অলিউর রহমান বলেন, ‘ওয়ারিশান সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে দেখি, কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। মেম্বার ও চেয়ারম্যান কারাগারে।’
পরিষদের উদ্যোক্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘সচিব ও আমরা চেষ্টা করছি যতটুকু সম্ভব কাজ চালিয়ে যেতে। কিন্তু ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর ছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেমে রয়েছে।’
গত ২৬ মে রাতে ঝলইশালশিরি ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্ডধারীদের চাল দেওয়ার আগে জনপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগে স্থানীয় জনতা ১১ ইউপি সদস্যকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করে এবং গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।
ঝলইশালশিরি ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রায়হান মুজিবকে ইউনিয়ন পরিষদে না পেয়ে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, ‘পরিষদে জনপ্রতিনিধির অভাবে কিছু নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য একজন প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়েছে, যাতে ইউনিয়নের জনগণ জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]