[ad_1]
গাইবান্ধার সাঘাটায় যমুনা নদের তীরে বাঁধ সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ধস শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, মাটির বদলে বালু দিয়ে সংস্কারের কাজ করায় ওই বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও ধস দেখা দিয়েছে। এ দিকে ঝুঁকিপূর্ণ ওই বাঁধের ওপর দিয়ে পথচারী ও যান চলাচল করছে। ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামতের কোনো উদ্যোগও নেই। এতে নদী-তীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙনে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
বর্ষার ভরা মৌসুম শুরুর আগেই ক্ষতিগ্রক্ষ বাঁধ পূনরায় মেরামতে দাবি স্থানীয়দের। তারা বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তাদের যোগসাজশে মাটির পরিবর্তে বালু মাটি দিয়ে তড়িঘড়ি নামমাত্র কাজ করে সরকারি অর্থ আত্নাসাত করছেন। এতে বাঁধের স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বাঁধের নিচ থেকেই বালু তুলে সংস্কার করা হয়েছে। যার কারণে গত কয়েক দিনের সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধের শতশত জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে যমুনার প্রবল পানির চাপে বাঁধ ভেঙ্গে প্রানীকুলসহ ফসলী জমির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার সাঘাটা যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণে বাঁশহাটা উকুনপাগলীর মোড় থেকে বসন্তবাড়ী পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার বাঁধের ব্যয় ধরা হয় ২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তিন প্যাকেজে যৌথভাবে বাঁধ তৈরীর কাজ পান রংপুরের ঠিকাদার হাসিবুল হাসান এবং এমএস রহমান। নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প-১ এই কাজটি শুরু হয় ২০২৩ সালের শুরুর দিকে। বাঁধের কাজ এখনও চলমান রয়েছে।
সম্প্রতি ওই বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আশপাশের বিভিন্ন বাড়ি, বাগান, মাঠ, নদীর পাড় থেকে ছোট-বড় গর্ত। সেখান থেকে বাঁধের জন্য মাটি নেওয়া হয়েছে। এক্সকাভেটর দিয়ে নদ তীরের স্থান থেকে মাটি-বালু তোলা হয়েছে। এতে বাঁধ লাগোয়া গর্ত তৈরি হয়েছে। সেই গর্তের মাটি-বালু দিয়ে মাঝে ফাঁকা রেখে দুপাশে উঁচু আইলের মতো তৈরি হয়েছে। বাঁশহাটা, মুন্সিরহাট, ইটাকুড়ি, কাঁটাদ্বার, খেয়াহাট,ডাকবালা, জমারবাড়ি এলাকায় শতশত জায়গায় ফাটল ও ধস দেখা গেছে।
মুন্সিরহাটের স্থানীয় বাসিন্দা সাহেব মিয়া বলেন, ‘বাঁধের কাজের সময় নীচ থেকে বালু মাটি তুলে সংস্কার করা হয়েছে। এই সামন্য বৃষ্টিতে বাঁধে ফাটল দেখা গেছে। নদীতে পানি বাড়ে চাপ সৃষ্টি করলেই বাঁধ ভেঙ্গ যাবে।’
কায়সার সরকার বলেন, ‘ঠিকাদারের সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিশ্চয়ই যোগসাজশ রয়েছে। তাছাড়া কাজের এমন অনিয়ম করার তারা সাহস পায় কীভাবে?’
এ বিষয়ে ঠিকাদার হাসিবুল হাসানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
পাউবোর গাইবান্ধা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘আমিও শুনছি বাঁধটিতে বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েক জায়গায় সামান্য করে ধসে গেছে। তবে বাঁধের কাজ এখনও চলমান রয়েছে। তবে বাঁধের কাজের ঠিকাদারের ইচ্ছাকৃত অনিয়ম পেলে, তার কাজের বিল আটকে রাখা হবে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]