[ad_1]
শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের ওপর এক নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে, যার মূল লক্ষ্য ছিল দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি ও শীর্ষ সামরিক নেতৃবৃন্দ।
“রাইজিং লায়ন” (Rising Lion) নামের এই সামরিক অভিযানের লক্ষ্য ছিল — ইসরায়েলের ভাষ্য অনুযায়ী — তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্রুত অগ্রগতি থামানো। এই অভিযানে ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জ-এ হামলা চালানো হয়, পাশাপাশি আঘাত হানা হয় ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কেন্দ্রেও, যাকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির হৃদয়স্থল”।
নেতানিয়াহু আরও ঘোষণা করেন, “ইরানের পারমাণবিক হুমকি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে যতদিন প্রয়োজন।”
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন শীর্ষ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর প্রধান।
এই হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোলাহ আলি খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“ইসরায়েলকে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।”
তার প্রতিক্রিয়ায় ইরান শুক্রবার থেকেই ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা শুরু করে।
ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে ইরানি বাহিনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত ও সুনির্দিষ্ট জবাব দিয়েছে। এই হামলায় ডজনেরও বেশি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের তেল আবিবে একটি আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে সরাসরি আঘাত হানার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ভবনের কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টে এখনো আগুন জ্বলছে এবং ঘন ধোঁয়া বের হচ্ছে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]