[ad_1]
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামে ১০ টাকার চা-পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা হুমায়ূন কবীর (২১) খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।
বিক্ষুব্ধ জনতা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে অভিযুক্তদের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও থানা-পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সোহাগ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে হুমায়ুন কবির তাঁকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশে বের হন। এ সময় রশিদ মাস্টারের বাড়ির সামনে গেলে একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বাদল ও শামসুল হকের ছেলে রাশেদুল রানা পেছন দিক থেকে আক্রমণ করেন। এ সময় হুমায়ুন দৌড়ে চান মিয়ার চা স্টলে আশ্রয় নিলে সেখানেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তাঁরা।
একাধিক সূত্র জানায়, বাদলের বাবা আব্দুল কুদ্দুস নবগঠিত গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
নিহত হুমায়ুন কবির সোনাকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। তিনি সহনাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সোহাগ আরও জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চা-পানের মাত্র ১০ টাকা বিল নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়েছিল হুমায়ুনের। পরে বিষয়টি এলাকার মুরুব্বিরা মীমাংসা করে দেন।
গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানান, হুমায়ুনের শরীরে তিনটি আঘাত খুবই গুরুতর। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন বলেন, মাত্র ১০ টাকার চা-পানের জন্য এমন একটি হত্যাকাণ্ড কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। খুনি যে-ই হোক বা যে দলেরই হোক, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাফেজ মো. আজিজুল হক উপস্থিত ছিলেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, চা-পান খাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]