ক্রাইম জোন ২৪।। ঈদ পরবর্তী বাজারে রাজধানীবাসীর জন্য খানিকটা স্বস্তির খবর—ব্রয়লার মুরগির দাম নেমেছে দুইশ টাকার নিচে এবং ডিমের দামেও দেখা দিয়েছে স্থিরতা। মাছসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রোটিনের জোগান দিতে এখন অনেকেই ভরসা করছেন মুরগি ও ডিমের ওপর।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছের সরবরাহ কিছুটা কম থাকলেও মুরগি ও ডিমের দাম ছিল স্থিতিশীল। বিক্রেতারা জানান, চাহিদা কম থাকায় ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। যা ঈদের আগে ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। সোনালী মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকায়, যা পূর্বে ছিল ৩০০ টাকার ওপরে।
একইসঙ্গে ডিমের দামও আগের মতোই রয়ে গেছে। বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় এ দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে মাংসের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে ডিম ও মুরগি এখন সাধারণ মানুষের প্রধান প্রোটিনের উৎস হয়ে উঠেছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী সেলিম হোসেন বলেন, “মাছ এখন অনেকটা বিলাসিতা। তবে আজ ব্রয়লার ও ডিমের দাম দেখে স্বস্তি পেলাম।”
ডিম বিক্রেতা রাসেল মিয়া জানান, “আগে ডিমের বাজারে সিন্ডিকেট ছিল, এখন সেটা ভেঙে যাওয়ায় দাম স্থির রয়েছে। তাই এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ ডিম সহজে কিনতে পারছেন।”
মুরগি বিক্রেতা মফিজুল ইসলাম বলেন, “ঈদের আগে চাহিদা বেশি থাকলেও দাম ছিল অনেক। এখন চাহিদা কম, তাই দামও কম। তবুও বিক্রি ভালো হচ্ছে।”
ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, যদি সরবরাহ ও বাজার তদারকি নিয়মিত থাকে, তাহলে এই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]