ক্রাইম জোন ২৪।। গাজায় ফের রক্তগঙ্গা—মাত্র ২০ দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে ৪৯০ শিশু। মানবতার এই নির্মম পরিণতির খবর প্রকাশ করেছে গাজার মিডিয়া অফিস। তারা বলছে, চলমান আগ্রাসনে ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে, যা আধুনিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর একটি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর বরাতে জানা যায়, গত ২০ দিনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় মোট ১৩৫০ জনকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে ৪৯০ জনই শিশু। গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, এই সংখ্যা কেবল পরিসংখ্যান নয়—এটি শিশুদের বিরুদ্ধে পরিচালিত এক পরিকল্পিত গণহত্যার প্রমাণ।
ইসরায়েলি বাহিনীর এই আগ্রাসনকে “গণহত্যার ধারাবাহিকতা” আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “এই হত্যা অভিযান ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক শিশুদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। ইসরায়েলের দাবি ছিল, এসব হতাহতের ঘটনা ‘আকস্মিক’, কিন্তু প্রকৃত তথ্য বলছে ভিন্ন কথা।”
গাজার মিডিয়া অফিস স্পষ্ট ভাষায় জানায়, বিমান হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল শিশুরা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শুধুমাত্র গত বিশ দিনেই, ধারাবাহিক বর্বরতায় প্রাণ হারিয়েছে ৪৯০ শিশু।”
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় আরও আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের ট্রাম্প পরিকল্পনা বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত মিলছে।
এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলাও চলছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। তবে প্রাণ বাঁচানোর অপেক্ষায় থাকা গাজার শিশুদের জন্য এখনো নেই কোনো নিরাপদ আশ্রয়।
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]