সৈয়দ তাজুল ইসলাম নয়ন।। ঢাকায় অপেক্ষা চলছে! অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাইড লাইন বৈঠকের আয়োজনের প্রস্তাব নিয়ে ঢাকা থেকে ইতিবাচক সংকেত পাওয়া গেছে, তবে দিল্লি এখনো কোনো স্পষ্ট উত্তর দেয়নি। এই ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বৈঠককে নিয়েও উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের আগুন জ্বলে উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন জানান, "আমরা এই শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এবং আমাদের প্রত্যাশা আছে, যদি দিল্লি ইতিবাচক উত্তর দেয়, তাহলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠার বড় সম্ভাবনা রয়েছে।"
সচিব জসীমের কথায় স্পষ্ট ছিল – বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, তবে প্রশ্ন দাঁড়ায়, দিল্লি কি প্রস্তুত? তিনি আরও বলেন, "বৈঠকের সুযোগ পেলে আমাদের সকল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাঁধন ও সমস্যা দূর হয়ে যাবে।"
এদিকে, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর নয়াদিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ কর্তৃক ইউনূস-মোদি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। তথাপি, কিছু প্রভাতি দৈনিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও কাঠামোগত বৈঠকের সম্ভাবনা এখনো নির্মাণাধীন। ভারত মনে করছে, আলোচনার পরিবেশ এখনো যথেষ্ট পরিপূর্ণ নয়।
এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ নাগরিকদের মন্তব্যে উঠে আসছে – একদিকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার সুযোগ, অপরদিকে ভারতের অনিশ্চিত ও চুপচাপ অবস্থাকে নিয়ে উদ্বেগ। ঢাকা থেকে ইতিবাচক সংকেত আসলেও, দিল্লির পক্ষ থেকে সাড়া না মিললে এ বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্ক আরও জোরালো হতে পারে।
বাংলাদেশ পক্ষ থেকে স্পষ্ট – আমরা প্রস্তুত, আমরা অপেক্ষায়, কিন্তু দিল্লি কবে উত্তর দেবে, তা এখনই সিদ্ধান্তের মুহূর্তে সকলের নজর। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে আগামী দিনগুলিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্তরে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক নিশ্চিত।