ক্রাইম জোন ২৪।। খুলনায় পঞ্চবীথি ক্লাবের দখল উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ নেতার নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন গণঅধিকার পরিষদের মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) খুলনা সদর থানায় তিনি মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী, নাজমুল হোসেন, মহররম মাহীম, শেখ রাফসান জানি ও রুমি রহমান। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর শান্তিধাম মোড়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একটি সরকারি ভবনে দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্র নামে একটি ক্লাব ছিল। গত ২৭ জানুয়ারি ভবনটি দখল করে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। দলটির খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে রাতেই দলীয় সিদ্ধান্তে রাশিদুলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কিন্তু বহিষ্কারের পরেও তিনি ওই ভবনেই বসে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ভবনে আরও কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের সাইনবোর্ড লাগানো হয়, যা বিতর্কের সৃষ্টি করে।
গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকেই ভবনটি দখলমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে বার্তা ছড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির খুলনার নেতাকর্মীরা। রাত ৯টার দিকে তাঁরা ভবনটি উদ্ধারের জন্য গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
গণঅধিকার পরিষদের মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম বলেন, "ক্লাবের নামে ওই ভবনে জুয়া, মাদক সেবন ও বিক্রিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ চলত। আমরা ভবনটি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি এবং সংস্কারের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে আমাকে ও দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত করেছে। ন্যায়বিচারের জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।"
তিনি আরও দাবি করেন, "আমি নির্দোষ হওয়ায় কিছুদিন পর আমার অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।"
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, "গণঅধিকার পরিষদের নামে কিছু চাঁদাবাজ ও দখলদার গোষ্ঠী ক্লাবটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। ক্লাবটি মুক্ত করতে আমাদের ছেলেরা ওদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওরা উল্টো ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। আমি তখন ঘটনাস্থলে ছিলাম না। হামলার খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অথচ এখন উল্টো আমাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।"
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হাসান মাসুম বলেন, "সংঘর্ষের পর পুলিশ ভবনটি হেফাজতে নিয়েছে। আহত একজন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করছে।"
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]