ক্রাইম জোন ২৪।। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকপণ্যে কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং। তারা শিশু-কিশোর ও তরুণদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করার জন্য সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তর একত্রিত করে প্রতি শলাকার সিগারেটের সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ৯ টাকা নির্ধারণের দাবি করেছে।
এ সংগঠনটি দাবি করে, এই দাম বাড়ালে তরুণেরা সিগারেট সেবনে নিরুৎসাহিত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লক্ষ তরুণের তামাকজনিত অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পারবে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি।
এ বিষয়ে গত ২০ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িংয়ের সমন্বয়ক মারজানা মুনতাহা বলেন, সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরের দাম কাছাকাছি হওয়ায় ভোক্তারা কোন একটি স্তরের সিগারেট বেছে নিচ্ছেন। দাম বাড়ানোর মাধ্যমে স্বল্প আয়ের জনগণ এবং তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।
এছাড়া তারা প্রতি ১০ শলাকার সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা, উচ্চ স্তরের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশও করেছে। বিড়ির প্রতি শলাকার দাম অন্তত ১ টাকা করারও দাবি করা হয়েছে।
তামাক পণ্যের কর কাঠামো সংস্কার করলে সিগারেটের ব্যবহার ১৫.১ শতাংশ থেকে কমে ১৩.৩ শতাংশে নেমে আসবে, এবং ২৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকবে, পাশাপাশি ১৮ লক্ষ কিশোর-তরুণ নতুনভাবে সিগারেট সেবনে নিরুৎসাহিত হবে বলে দাবি করা হয়েছে।
এই প্রস্তাবনাটি তরুণদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে আহছানিয়া মিশন, এবং তারা আশা করছে এটি আগামী বাজেটে কার্যকর হবে।
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]