পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় চাঁদার দাবিতে এক বৃদ্ধ ও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, নয়ন গাজী (৩৮) নামে এক ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তাদের উপর হামলা চালান।
রোববার (২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের মৈশানি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—ননী গোপাল সরকার (৬০) ও তার ছেলে শম্ভু সরকার (৪৪)। গুরুতর আহত শম্ভু সরকারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লিমা আক্তার জানান, শম্ভু সরকারের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ননী গোপাল সরকারের মেয়ে খুকু রানী দাস বলেন, ‘নয়ন গাজী কয়েক দিন ধরে আমার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। আমরা ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। আমাদের কাছে নগদ টাকা না থাকায় তিনি জোর করে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন। আজ সকালে তিনি আবারো টাকা বা জমি দাবি করেন। আমরা রাজি না হলে তিনি বাড়িতে ঢুকে আমার ভাইকে মারধর করেন এবং রাস্তায় বাবাকে পেয়ে তাকেও মারধর করেন।’
এ বিষয়ে ননী গোপাল সরকার বলেন, ‘আমি শেখেরহাট বাজারে ছিলাম, তখন শুনতে পাই নয়ন আমার ছেলেকে মারধর করছে। বাড়িতে ফিরে এলে নয়ন আমাকে মারধর করে। আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, এখন বার্ধক্যের কারণে কাজ করতে পারি না। সে দীর্ঘদিন ধরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমার কাছে কোনো টাকা নেই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত নয়ন গাজী বলেন, ‘ননী গোপালের পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আদালতে এ বিষয়ে মামলা চলছে। আজ সকালে ওই জমিতে গাছ বিক্রি করা হচ্ছিল, আমি বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি, আত্মরক্ষার্থে হয়তো এক-দুইটি কঞ্চির আঘাত লেগেছে।’
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন বলেন, ‘বাবা-ছেলেকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’