বরিশালে সয়াবিন তেলের সংকট


বরিশালে সয়াবিন তেলের সংকট: বাধ্য হয়ে অন্য পণ্য কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের
বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালের বাজারগুলোতে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না এবং ভোক্তাদের বাধ্য হয়ে অন্যান্য পণ্য কিনতে হচ্ছে তেলের সঙ্গে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সয়াবিন তেল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এর ফলে সয়াবিন তেল চাইলে পণ্যের সঙ্গে আটা, ময়দা, সুজি কিংবা প্যাকেটজাত চালসহ অন্যান্য পণ্যও ক্রেতাদের কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বরিশালের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, তেল চাইলে দোকানিরা অতিরিক্ত পণ্য ধরিয়ে দিচ্ছেন, যা কিনতে ভোক্তাদের বাধ্য হতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ
বাংলাবাজার এলাকার আল-আমিন স্টোরের মালিক আলামিন বলেন, “তেল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসার অচল পণ্য বাজারে চালাতে আমাদের বাধ্য করছে। তেল চাইলে সঙ্গে আটা, ময়দা, সুজিসহ অন্যান্য পণ্য ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ক্রেতাদেরও তেল পাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে এসব পণ্য নিতে হচ্ছে।”
বটতলা বাজারের মুদী ব্যবসায়ী সুজন হাওলাদার বলেন, “তেল কোম্পানিগুলো প্যাকেটজাত পোলাওয়ের চালসহ অন্যান্য পণ্য আমাদের চাপিয়ে দিচ্ছে। তবে ক্রেতারা খোলা পোলাওয়ের চাল কেনার পক্ষে, কারণ তার মান ভালো এবং দাম কম।” তিনি আরও বলেন, “এ কারণে অনেক ব্যবসায়ী দোকানে সয়াবিন তেল রাখা বন্ধ করে দিয়েছেন।”
ক্রেতাদের বিপদ
ক্রেতারা জানান, সয়াবিন তেলের সংকটের কারণে তাঁদের পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বাংলাবাজার এলাকার খোরশেদ আলম বলেন, “দুই মাস ধরে দোকানিরা তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে তেলের সংকট তৈরি হয়েছে এবং দাম বেড়েছে। এছাড়া তেলের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছি।”
এদিকে, দুলাল সিকদার নামে এক ক্রেতা বলেন, “রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা কৌশলে তেলের সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। অনেক জায়গায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা দিয়েও তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিক্রিয়া
এ বিষয়ে বরিশাল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধীকারী জানান, “আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। যদি ক্রেতারা অভিযোগ করেন, তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এভাবে সয়াবিন তেলের সংকট এবং ব্যবসায়ীদের অনৈতিক কার্যকলাপে ভোক্তারা চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।