ক্রাইম জোন ২৪।। ৫ আগস্টের অস্থিরতার সময় লুট হওয়া ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এবং আড়াই লাখ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দেশব্যাপী যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
ডিসিদের নির্দেশনার বিষয়ে আবদুল হাফিজ বলেন, বিভিন্ন জেলায় এখনো উদ্ধার হয়নি ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র ও আড়াই লাখ গুলি, যা ৫ আগস্টের পর লুট হয়েছিল। এগুলো এখনো কোথাও লুকানো রয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে পারে। তাই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটেছে, যার তিন ভাগের চার ভাগ উদ্ধার হয়েছে। লুট হওয়া ৬ লাখ গুলির মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। তবে চলমান অভিযানের মাধ্যমে এসব উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি দিচ্ছে, যা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সামনে রমজান মাস আসছে, তখন প্রশাসনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিত করতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসকরা কিছু দুর্গম এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে নরসিংদীর ছয়টি ইউনিয়নসহ কয়েকটি এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে গেছে। এসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
এছাড়া, যুব সমাজের জন্য ইউনিভার্সেল মিলিটারি ট্রেনিং চালুর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের তরুণরা সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, সরকার যদি অনুমোদন দেয়, তাহলে সশস্ত্র বাহিনী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রস্তুত। পাশাপাশি সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সমন্বয় আরও শক্তিশালী করা হবে।
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]