সিএনজি ভাড়া নৈরাজ্য: বরিশালে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন


সাম্প্রতিক খবরে জানা গেছে, সিএনজি চালিত অটোরিকশা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া নিলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা অনুযায়ী, মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
তবে বরিশালে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এখানে অধিকাংশ সিএনজি চালক ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে, কিন্তু এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, বরিশালে সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলোতে মিটার নেই, ফলে চালকরা নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া নির্ধারণ করছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ন্যায্য ভাড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং প্রতিদিনই যাত্রী ও চালকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটছে।
একাধিক যাত্রীর ভাষ্যমতে, সিটি করপোরেশন এলাকাতেই চুক্তি ভিত্তিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য চালকরা দ্বিগুণ বা তিনগুণ বেশি ভাড়া দাবি করছে। অথচ এই পরিস্থিতি সম্পর্কে বরিশাল প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব।
যাত্রীদের অভিযোগ, প্রশাসনের নীরবতার সুযোগ নিয়ে চালকরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বরিশালে মিটার চালুর বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না কেন, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
বরিশাল বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের কোনো কার্যকর অভিযান না থাকায় এই ভাড়া নৈরাজ্য দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— তারা কেন এ বিষয়ে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না?
এ বিষয়ে বরিশাল বিআরটিএর কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে যাত্রীদের দাবি, প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।