গতকাল রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখতে 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারা দেশে এই অভিযান শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ হামলার ঘটনার পর গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এদের মধ্যে গাজীপুরের রাজবাড়ী মাঠে আজ দুপুরে এক বড় সমাবেশ হয়, যেখানে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, “আমাদের সহযোদ্ধাদের গায়ে হাত দিলে পুরো বাংলাদেশ আবার নতুন করে জেগে উঠবে। যদি প্রশাসন ও পুলিশ ইন্টেলিজেন্স রাতের মধ্যে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে, তবে আমরা আবার রাজপথে নেমে আসব।”
গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পৈতৃক বাড়িতে হামলার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হন, তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। এই পাঁচজনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলার পর গাজীপুরের স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, "গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।"
এছাড়া, হামলার পর আন্দোলনকারী ছাত্ররা আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সারজিস আলম আরো বলেন, "আমরা জানিয়ে দিতে চাই যে, কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না এবং গাজীপুরের পরিস্থিতি যদি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, তাহলে আন্দোলনকারীরা সর্বাত্মক প্রতিবাদে নামে আসবে।"
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]