বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৬ মাসেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এতে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে।”
বিএনপির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত, পতিত, পরাজিত ও পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ক্রোধ সৃষ্টি করেছে। এর ফলস্বরূপ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।”
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, “গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ছিল।”
তারা বলেন, বর্তমান সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় জনগণ সড়কে 'মব কালচার' তৈরি করছে, যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
এছাড়াও, বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
বিএনপির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি, এবং গণতন্ত্রকামী জনগণের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলোর সুরাহা করা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে শেষমেষ বলা হয়েছে, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষে শিগগিরই একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। নির্বাচনমুখী জরুরি সংস্কার সাধন করে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করাই বর্তমান সরকারের প্রধানতম ম্যান্ডেট।”
এদিকে, বিএনপি সরকারের প্রতি তাদের জনগণের প্রত্যাশা উপেক্ষা করার অভিযোগ তুলেছে, এবং শিগগিরই নির্বাচনী ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন এবং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]