দাফনের ৫ মাস পর ছাত্র আন্দেলনে নিহত মামুনের লাশ উত্তোলন
আদালতের নির্দেশ


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মামুন খন্দকারের লাশ দাফনের ৫ মাস ২৪ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে, সকালে মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোড় রাজপারা ইউনিয়নের নিজ পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নিহত মামুন খন্দকার মঠবাড়িয়ার বেতমোড় এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত হাজী মুজিবর রহমান খন্দকারের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বাইপাল এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের সময় মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাকে দ্রুত গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তিনি মারা যান। পরে ৯ আগস্ট তার মরদেহ নিজ বাড়ি মঠবাড়িয়ায় এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় মামুনের স্ত্রী সাথি খন্দকার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম বলেন, “ঢাকার আশুলিয়ায় ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মামুন গুলিতে নিহত হন। আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”