গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিদিনই বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। গতকাল রোববারও উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৯ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে গাজা সিটির বহুতল ভবন ধ্বংসের অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। গতকাল রোববার, আল-রুয়া টাওয়ার নামে পাঁচ তলা একটি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
বরাবরের মতোই ইসরায়েলের সাফাই—কেবল হামাসের স্থাপনাতেই হামলা চালাচ্ছে তারা। তাদের ভাষ্য—হামলা চালানোর আগে এই ভবন ও আশপাশের এলাকা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা কেবল “সন্ত্রাসী” অবকাঠামোই লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে।’ তবে, আন্তর্জাতিক মহল বলছে, এসব হামলায় মূলত সাধারণ মানুষের অবকাঠামোই ধ্বংস হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংস হওয়া আল-রুয়া টাওয়ারে ২৪টি ফ্ল্যাট ছাড়াও ছিল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, একটি ক্লিনিক ও একটি জিম। এর আগে সেন্ট্রাল গাজার আল-জাজিরা ক্লাব এলাকায়ও হামলা চালায় ইসরায়েল, যেখানে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগের দিন ১৫ তলা সউসি টাওয়ার এবং তারও আগের দিন ১২ তলা মুশতাহা টাওয়ারেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এসব ভবনের আশপাশে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া অনেকেই আহত হয়েছেন। নিহতও হয়েছেন অনেকে।
গত আগস্টে গাজা সিটিতে দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের সিকিউরিটি ক্যাবিনেট। এরপর উপত্যকার আল-মাওয়াসিকে মানবিক নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। তবে, গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে গাজা সিটির বাসিন্দাদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকাকে মানবিক নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে বলে যে দাবি ইসরায়েল করেছে তা মিথ্যা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজা সিটির নাগরিকদের আমরা সতর্ক করছি, দখলদার বাহিনীর প্রতারণামূলক মানবিক নিরাপদ অঞ্চলের প্রচারণায় বিভ্রান্ত হবেন না।’ উল্লেখ্য, যুদ্ধের শুরু থেকেই আল-মাওয়াসিকে মানবিক অঞ্চল ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। তবে এরপর থেকে ওই এলাকা বারবার বোমা হামলার শিকার হচ্ছে।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]