পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্রতিটি ১০ কাঠার তিনটি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা ও রেহানার ছেলে-মেয়েসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা তিন মামলায় আরও পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ তাঁরা সাক্ষ্য দেন।
আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন— গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী সফিকুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন, কর সার্কেল-৬-এর প্রধান সহকারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, কম্পিউটার অপারেটর মো. রেজাউল হক ও নোটিশ সার্ভার মো. আবু তাহের। আসামিরা পলাতক থাকায় সাক্ষীদের জেরা হয়নি।
তাঁরা প্রত্যেকে তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক রবিউল ইসলাম ২১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম।
এই তিন মামলায় তিন বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে গত ১৩ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। পরে আরও ছয়জন সাক্ষ্য দেন। এই তিন মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ অন্যদের আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে এক মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জন, আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৮ জন এবং অন্য মামলায় শেখ হাসিনা ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ১৮ জন আসামি। প্রতিটি মামলায় শেখ হাসিনা এবং রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা আসামি। তাঁরা পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতেই সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, তাঁর ছেলে ও মেয়ে আজমিনাকে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর সড়কে প্রতিটি ১০ কাঠার করে ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে মোট ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলার অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ আসামি ২৯ জন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলেমেয়েসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা বাকি তিনটি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]