চীনের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনা আর নেই বলে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। গতকাল মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন তিনি। এ সময় পীযূষ আরও বলেন, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর যে মন্বন্তর তৈরি হয়েছিল তা এখন অতীত। সীমান্ত সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে, তাই সম্পর্ক উন্নত করা এখন সময়ের দাবি।
এদিকে মন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে ভারতে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ বাস্তবে এখনো অরুণাচল প্রদেশ, লাদাখ ও কাশ্মীরের একাংশ নিয়ে চীন নিজেদের অধিকার দাবি করছে এবং সীমান্তে সেনা মোতায়েনও কমেনি। দিল্লি বলছে তারা আগ বাড়িয়ে সমস্যার সমাধান করেছে, কিন্তু বেইজিংয়ের অবস্থান অপরিবর্তিত।
২০২০ সালে লাদাখ সংঘাতের পর ভারত চীনের পণ্যের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা দেয়, আত্মনির্ভর ভারতের ঘোষণা হয় এবং অনেক চীনা পণ্য বন্দরে আটকে রাখা হয়। তখনই চীন বয়কটের স্লোগান ওঠে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক নীতির পর থেকে দ্রুত চিত্র পাল্টাতে থাকে, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত হতে শুরু করে।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে যোগ দিয়ে নতুন এক বন্ধুত্ব অধ্যায়ের ইঙ্গিত দেন। তবে বেল্ট অ্যান্ড রোড করিডরকে সমর্থন না করার অবস্থান এবারও বজায় রেখেছে দিল্লি। গয়াল বলেন, তিক্ততা থাকলে সম্পর্ক বাড়ানো সম্ভব নয়, এখন সমস্যা নেই তাই সম্পর্ক উন্নয়নে বাধা নেই।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সরকারি অবস্থান এক হচ্ছে না। সীমান্তে সেনা অবস্থান বা সার্বভৌমত্ব নিয়ে চীনের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকলেও দিল্লি কেন এখন নরম সুর নিচ্ছে, তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]