ঢাকার বুড়িগঙ্গা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থা উদ্ধার তরুণ-তরুণীর লাশের পরিচয় মেলেনি। ওই দুটি লাশসহ বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার চারটি লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ মঙ্গলবার লাশ দুই হস্তান্তর করে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল) হাসপাতালের মর্গের সহকারী শ্যামল লাল জানান, ১১ দিনেও লাশগুলোর খোঁজে কেউ আসেনি। এদিকে মর্গের রেফ্রিজারেটর নষ্ট থাকায় লাশগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাই আজ দুপুরের পর চারটি লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের পক্ষে দাফন সেবা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম লাশ চারটি বুঝে নেন।
জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পরস্পর হাত বাঁধা অবস্থায় দুই তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ছাড়া একই দিনে পৃথক আরেকটি ঘটনায় এক নারী ও এক ছেলেশিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে ১১ দিন অতিবাহিত হলেও লাশ চারটির কোনো পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত লাশ চারটি পড়ে ছিল স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের পক্ষে দাফন সেবা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বেওয়ারিশ লাশ সৎকারের কাজ করি। মঙ্গলবার সকালে ফোন পেয়ে আমরা মর্গ থেকে এই চারটি লাশসহ মোট ছয়টি লাশ বুঝে নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা লাশ চারটির পরিচয় শনাক্তের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছি। ১১ দিনেও পরিচয় না পেয়ে অবশেষে লাশগুলো আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য লাশের ডিএনএ ও অন্যান্য আলামত সংরক্ষণ করা হয়েছে।’
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]