ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিলসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের এক নেতা। তানজিল ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি। অন্য আসামিরাও ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মী। গত ৩০ আগস্ট (শনিবার) বোরহানউদ্দিন থানায় মামলার অভিযোগ জমা দেন বলে নিশ্চিত করেছেন এই থানার ওসি (তদন্ত) রিপন চন্দ্র দাস।
মামলার বাদী নাজিমুদ্দিন জানান, গত ২৮ আগস্ট ভোলা-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আলমকে ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে কয়েকজন সহযোগীসহ পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে তিনি ভোলা সদরে ফিরছিলেন। পথে বোরহানউদ্দিনের বড় মানিকা ইউনিয়নের মানিকা বাজারের উত্তর পাশে তাঁদের পথরোধ করে আসামিরা। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।
নাজিমুদ্দিন অভিযোগ করেন, হামলায় বড় মানিকা ইউনিয়ন (পশ্চিম) যুবদলের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদার তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে তিনি হাত দিয়ে তা প্রতিহত করেন। এতে তার ডাঁন হাতের একটি আঙুলে গুরুতর জখম হয় এবং আটটি সেলাই লাগে। একই সময় মানিকা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হাওলাদার মো. সুমনকে এসএস পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সুমনের মাথা ফেটে যায়।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা তাঁর মোবাইল ফোন ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং চারটি মোটরসাইকেলও নিয়ে যায়। আসামিরা মামলা না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোরহানউদ্দিন থানার এসআই জি এম শাহাবুল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় মামলার কপিটি গতকালই (৩১ আগস্ট) হাতে পেয়েছি। মামলাটির তদন্ত করতেছি।’
তবে মামলার বিষয়ে বা মারামারির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিল।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]