ভারতীয় ডেটা সায়েন্টিস্ট কপিল ভাট-এর একটি পোস্ট এক্স প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে। পোস্টটি বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে আউটসোর্সিংয়ের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা উসকে দিয়েছে। কপিল ভাট যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক একটি বায়োটেক সংস্থায় ডেটা সায়েন্সে ছয় বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন।
ভারতে ফেরার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কপিল তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, ভারতীয় সহকর্মীদের প্রায়শই আমেরিকান সহকর্মীদের কাছে দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হতো। ভাট-এর মতে, ভারতীয় সহকর্মীদের প্রায়ই বিরক্তিকর এবং জরুরি কাজ দেওয়া হতো। তাঁরা যেন আমেরিকান সহকর্মীদের ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ বা ভাগাড় হয়ে উঠেছিলেন!
কপিল ভাট কাজের গতিপ্রকৃতিতে এক তীব্র বৈপরীত্যের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমেরিকানরা সাধারণত ভারতীয় দলকে কাজ দিয়ে, নিজেরা অদরকারি মিটিং করে আর দ্রুত কাজ শেষ করে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরতেন। অন্যদিকে, ভারতীয় দলকে বিরক্তিকর এবং জরুরি কাজসহ বেশির ভাগ কাজের ভার সামলাতে হতো। এর জন্য কখনো সামান্য প্রশংসাও করা হয়নি।
কপিলের করা টুইটে লেখা, ‘আমার মার্কিন সহকর্মীরা ভারতের দলটিকে তাঁদের ব্যক্তিগত চাপিয়ে দেওয়ার স্থান হিসেবে ব্যবহার করত। বিরক্তিকর কাজ? ভারতীয় দলকে ডাক। জরুরি কাজ? ভারতীয় দলকে ডাক। এরপর তাঁদের কর্মদিবস শুরু হতো মূলত ভারতের দলটিকে কাজ পাঠানো, অপ্রয়োজনীয় মিটিং করা, আরাম করা এবং লগ অফ করা (বেরিয়ে যাওয়া)।’
এই পোস্টটি ভারতীয় কাজের সংস্কৃতি নিয়ে একটি উত্তপ্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক্সে সেটি ৫ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার সোসাইটির সব আইটি কর্মী আমাকে একই কথা বলেন। এমনকি যারা অনসাইটে কাজ করে, তারাও ভারতীয় দলের সঙ্গে একই রকম আচরণ করে এবং শুধু পিআর রিভিউ করে।’
অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘সমস্যা হলো ভারতের বেশির ভাগ কর্মীই পেশাদারভাবে সীমানা নির্ধারণ করতে বা প্রতিরোধ করতে শেখেনি।’
তৃতীয় একজন বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভালো কাজের সংস্কৃতির পেছনের কারণ হলো সব কাজ ভারতীয় অফশোর অফিসের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।’
চতুর্থ একজন যোগ করেছেন, ‘ভারতীয় ব্যবস্থাপনা দুর্বলচিত্তের। তারা পশ্চিমাদের শ্রেষ্ঠ মনে করে। তাই তারা কখনোই তাদের দলের জন্য লড়াই করে না, যার ফলে তাদের ওপর আবর্জনা জমা হতে থাকে। আমি স্যামসাংয়ের জন্য কোরিয়ায় কাজ করেছি, সেখানেও একই ঘটনা ঘটেছিল।’
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]