চাকরির বাজারে প্রবেশের সময় নতুনদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ‘অভিজ্ঞতা’। বেশির ভাগ নিয়োগদাতা একাডেমিক ফলের পাশাপাশি প্রার্থীর অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও কাজের প্রস্তুতিকে গুরুত্ব দেন। অথচ সদ্য স্নাতকদের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা অর্জন করা বেশ কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন।
নিয়োগদাতারা প্রার্থীর যেসব গুণাবলি খোঁজেন
নিয়োগকর্তা একজন প্রার্থীকে যেসব মানদণ্ডে বিচার করেন তা হলো প্রার্থীর কাজের চাপ সামলানোর মানসিক প্রস্তুতি; দলগতভাবে কাজ করার সক্ষমতা; যোগাযোগ দক্ষতা; প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার ব্যবহারের জ্ঞান; সমস্যা সমাধানের দক্ষতা; দায়িত্ব নেওয়ার মানসিকতা ইত্যাদি। এসব গুণাবলি অভিজ্ঞতার সঙ্গেই সম্পর্কিত। তাই শিক্ষাজীবনকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে ‘অভিজ্ঞতার ঘাটতি’ বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
নিজেকে প্রস্তুত করার উপায়
ইন্টার্নশিপ ও পার্টটাইম কাজ: ইন্টার্নশিপ সব সময় বেতনভিত্তিক নাও হতে পারে, তবে এটি অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সার্ভিস থেকে ইন্টার্নশিপ খুঁজে নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি টিউশনি, কনটেন্ট রাইটিং বা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টেও পার্টটাইম কাজ করা যায়।
প্রস্তুতির রোডম্যাপ
প্রথম বর্ষ: নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, শিক্ষক ও বড়দের সঙ্গে সম্পর্ক গড়া
দ্বিতীয় বর্ষ: অনলাইন কোর্স ও নতুন দক্ষতা অর্জন
তৃতীয় বর্ষ: ইন্টার্নশিপ, স্বেচ্ছাসেবী কাজ ও ক্লাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ
চতুর্থ বর্ষ: পেশাগত প্রস্তুতি—সিভি তৈরি, মক ইন্টারভিউ দেওয়া ও লিংকডইন প্রোফাইল আপডেট
চাকরির বাজারে ফ্রেশার মানেই ‘অভিজ্ঞতাহীন’ নয়। যাঁরা সচেতনভাবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রতিটি ধাপ কাজে লাগান, তারাই পরে যোগ্য ও দক্ষ হয়ে ওঠেন। তাই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা গড়তে দেরি না করে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারলেই প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে ফ্রেশাররাও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেদের প্রমাণ করতে পারবেন।
সূত্র: ইনডিড ও লিংকডইন
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]