ব্যাটিংয়ের সময় হেলমেটের স্ট্র্যাপ বা ফিতা দাঁতে চেপে ধরেন সাকিব আল হাসান। মাথার পজিশন ঠিক রাখতে তৈরি করা এই নিজস্ব স্টাইল যেন এখন তাঁর নিত্যসঙ্গী। আর এই ভঙ্গিতেই তিনি মাঝেমধ্যেই খেলছেন চোখ ধাঁধানো ইনিংস। অ্যান্টিগায় আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৫ আর বল হাতে ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আলো কাড়ার পর সিপিএলের মঞ্চে আবারও আলো ছড়ালেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে ব্রাত্য হয়ে পড়া এক সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আজ সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে সাকিব যেন নিখুঁত ও ত্রুটিহীন পরিকল্পনায় নিজের ইনিংস সাজান। শুরুর ১৫ বলে ২৭। এরপর শেষ ওভারে ২৪ রান। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৬১ রানের বিস্ফোরক ফিফটি তার দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসকে এনে দিয়েছে লড়াকু পুঁজি। টসে হেরে আগে সাকিবের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তাই অ্যান্টিগা তোলে ২০৪ রান।
যখন দলীয় ৫১ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে, তখন উইকেট আসেন সাকিব। শুরুটা সাবধানী হলেও ধীরে ধীরে শট খেলতে শুরু করেন তিনি। অন্য প্রান্তে থাকেন আমির জাঙ্গু। দুজন মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। এরপর একের পর এক বাউন্ডারি আর ছক্কায় জমে ওঠে অ্যান্টিগার ইনিংস।
শেষ দিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সাকিব। মাত্র ২০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন, যা অ্যান্টিগার হয়ে দ্রুততম ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৬১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে থামেন তিনি। কিছুক্ষণ পরই সাজঘরে ফেরেন তাঁর সঙ্গী আমির জাঙ্গু, ৪৩ বলে ৫৬ রান করে।
দুই থিতু ব্যাটারের বিদায়ে কিছুটা গতি কমে এলেও শেষ ওভারে আবারও রান বাড়ে। ১৮তম ওভারে আসে ২২ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৪ রানে থামে অ্যান্টিগা। শেষ দিকে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন খেলেন ১৭ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। এ ইনিংস সাকিবের সিপিএল ক্যারিয়ারের এখন পর্যন্ত সেরা। একই সঙ্গে তাঁর দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সিপিএলে বিদেশিদের মধ্যে পঞ্চম দ্রুততম ফিফটি।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]