ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের ইস্যু বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার (৩১ আগস্ট) চীনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে চীন।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খুব স্পষ্টভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, সন্ত্রাসবাদ এমন এক অভিশাপ, যার শিকার ভারত ও চীন উভয়ই। এই বিষয়ে চীনের সমর্থন চেয়েছিলেন তিনি এবং চীন এই সমর্থন জানিয়েছে।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ার পরও সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে চীন ভারতের সঙ্গে একমত হয়েছে। গত জুনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) একটি সমাবেশে জারি হওয়া যৌথ বিবৃতিতে কাশ্মীরের পাহালগাম হামলার উল্লেখ না করায় ভারত তাতে স্বাক্ষর করেনি। বরং চীন সেদিন বেলুচিস্তানের ঘটনাকে সামনে এনেছিল, এ যা ভারতের প্রতি পরোক্ষ অভিযোগ হিসেবেই ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর নতুন কূটনৈতিক বাস্তবতায় ভারত-চীন সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে। দুই দেশ এখন বাণিজ্য বাড়ানো, সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ জোরদারের বিষয়ে নতুন করে আলোচনা করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, সির সঙ্গে বৈঠকে মোদি স্পষ্ট করেছেন যে ভারত ও চীন উভয়ই কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখে এবং তাদের সম্পর্ককে কোনো তৃতীয় দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধির ওপর দুই নেতা গুরুত্ব দিয়েছেন।
আগামীকাল এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মুখোমুখি হবেন। পাহালগাম হামলা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এটাই হবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সাক্ষাৎ।
এবারই তিন বছর পর সরাসরি এসসিও-এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন মোদি। ২০২৩ সালে ভারত অনলাইনে এই সম্মেলন আয়োজন করেছিল, আর ২০২৪ সালে কাজাখস্তানে আয়োজিত বৈঠকে যাননি মোদি।
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]