শিরোনাম
রৌদ্রজ্জল সকালে ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস, গরম কমবে কিবাংলাদেশের জন্য রাষ্ট্রদূত মনোনয়ন দিলেন ট্রাম্পগাজায় এখন পর্যন্ত ২৪৮ সংবাদকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েল১০০ শিল্পীর ৪০০ গানের পরিকল্পনা নিয়ে এটিএন ফোক ক্লাবঅস্ট্রেলিয়ায় স্যার জেমস ম্যাকনিল গবেষণা বৃত্তির সুযোগসুরা মুহাম্মদের শিক্ষা: মুমিনের জন্য পাঁচ পথনির্দেশআবারও আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার পেলেন মেরিনা তাবাশ্যুম, প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন‘গণঅধিকারের কার্যালয় থেকে বের হলেই জাগপা সভাপতিকে রাম দা দিয়ে কোপানো হয়’আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫প্রেমিকা-প্রেমিককে নির্যাতন করছিল কিশোর গ্যাং, উদ্ধারে গেলে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে পুলিশকে এলোপাতাড়ি কোপ

অ্যালকোহলে আগ্রহ হারাচ্ছেন জার্মান তরুণেরা

অ্যালকোহলে আগ্রহ হারাচ্ছেন জার্মান তরুণেরা

জার্মানিতে বিয়ার পান আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের বিয়ারের প্রতি আগ্রহ কমে এসেছে। তবে অ্যালকোহল-মুক্ত বিয়ারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

জার্মানির ফেডারেল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস ডেস্টাটিস জানিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে অ্যালকোহলমুক্ত বিয়ারের বিক্রি ১০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, বিয়ারের মোট বিক্রি এখন গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

ছয় মাসের হিসাব অনুযায়ী, বিয়ারের বিক্রি প্রথমবারের মতো ৪০০ কোটি লিটারের নিচে নেমে গেছে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩৯০ কোটি লিটার বিয়ার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বা ২৬ কোটি ২০ লাখ লিটার কম।

মিউনিখের কাছাকাছি অবস্থিত বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা এরডিঙ্গার ১৮৮০ সাল থেকে বিয়ার তৈরি করে আসছে। এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেফান ক্রেইস বলেন, মানুষের পান করার অভ্যাস বদলাচ্ছে, আর এখন তাদের মোট উৎপাদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশই অ্যালকোহলমুক্ত বিয়ার।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এমন একটা উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যাতে তরুণদের কাছে বিয়ার, এমনকি তা অ্যালকোহলমুক্ত হলেও, আকর্ষণীয় হয়। তাদের মেলামেশার এবং একসাথে পার্টি করার ধরনটা আমাদের বুঝতে হবে। এমন কোনো অ্যালগরিদম নেই যা বলে দেবে এখন তোমার বিয়ার দরকার।’

স্টেফান ক্রেইস এখনো জার্মান বিয়ারের সংস্কৃতিকে শক্তিশালী বলে মনে করেন। বর্তমানে তাঁর কোম্পানি বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্টে তাদের অ্যালকোহল-মুক্ত বিয়ারের প্রচার করছে এই বলে যে, এটি এনার্জি ড্রিংকের একটি ভালো বিকল্প।

মিউনিখের ক্যাফে কসমসের বারটেন্ডার লুইস ফন টুখার বলেন, তাঁর অনেক ক্রেতাই এখন স্বাস্থ্য সচেতন।

তিনি বলতে থাকেন, ‘বিশের দশকের দিকে, আমার মনে আছে, যদি কাউকে এক গ্লাস জল খাওয়ার কথা বলা হতো, তাহলে মানুষ ভীষণ বিরক্ত হতো।’

কিন্তু এখন মানুষের এ অভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন লুই। তিনি বলেন, ‘সকলেই এখন নিজেদের পানীয়ের ব্যাপারে একটু বেশি সচেতন। আমার মনে হয়, বেশিরভাগ মানুষ এখনো অ্যালকোহল পান করে, তবে তারা এটি আরও সচেতনভাবে করে এবং মাঝে মাঝে অ্যালকোহলমুক্ত পানীয়ও বেছে নেন।’

তবে লুই মনে করেন, সাধারণ বিয়ার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে না।

এই বারটেন্ডারের মতে, ‘এটা শুধু সামান্য একটা পরিবর্তন। আমরা রাতে সাধারণত ১৫০ থেকে ৫০০ লিটার পর্যন্ত সাধারণ বিয়ার বিক্রি করি, যেখানে অ্যালকোহলমুক্ত বিয়ার হয়তো ২০ লিটার মতো বিক্রি হয়। তাই এ দুটির মধ্যে এখনো বিশাল ফারাক আছে।’

উত্তর বাভারিয়ার বামবার্গ শহরের স্যান্ডকার্ভা লোক উৎসবে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে জার্মানিতে অ্যালকোহলযুক্ত বিয়ারের ঐতিহ্য এখনো দারুণভাবে বেঁচে আছে।

পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবে বামবার্গের আঁকাবাঁকা মধ্যযুগীয় রাস্তাগুলো ভরে ওঠে সঙ্গীতশিল্পী, সসেজ বিক্রির স্টল আর অগণিত বিয়ার স্টলে জমজমাট ব্যবসা চলে সারাক্ষণ।

পুরনো শহরের স্যান্ডস্ট্রাসেতে এক বন্ধুর সঙ্গে বিয়ার খাচ্ছিলেন পাস্কাল।

তিনি বললেন, “বিয়ার এই শহরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আর এখানে অনেক ব্রুয়ারি আছে। মানুষ এখানে আসে বিয়ার আর উৎসবের জন্য। আমি কল্পনাও করতে পারি না যে বামবার্গে বিয়ার খাওয়া আগের চেয়ে সত্যিই কমেছে।’

একটি বিয়ার গার্ডেনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থী ম্যাগডালেনাও পাস্কালের সঙ্গে একমত হলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি চারপাশে তাকাচ্ছি, আর দেখছি প্রত্যেকের হাতেই বিয়ারের গ্লাস। আমার মনে হয়, জার্মানির এই অংশে বিয়ার দৈনন্দিন জীবনের একটি বিশাল অংশ, যদিও আমরা সবাই জানি এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রজন্মের মানুষের হয়তো কম বিয়ার পান করার প্রবণতা আছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা এখনো জার্মানি, এটা এখনো বাভারিয়া।’


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button