টাইপ ২ ডায়াবেটিস তরুণদের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এর পেছনে কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন, বংশগত অথবা জেনেটিক প্রভাব, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে তরুণদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ২০০২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। আমাদের দেশে সুনির্দিষ্ট ডেটা না থাকলেও এর হার আশঙ্কাজনক।
শারীরিক পরিশ্রম কম করলে কিংবা ওজন বেড়ে গেলে শরীরে ইনসুলিন কাজ করতে পারে না। এটিকে বলা হয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য অন্যতম দায়ী।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ
» বেশি বেশি পিপাসা পাওয়া
» দুর্বলতা
» চোখে ঝাপসা দেখা
» ওজন হঠাৎ কমে যাওয়া
» অনেক সময় লক্ষণ প্রকাশ না-ও পেতে পারে। অন্য কোনো কারণে হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করে ধরা পড়ে ডায়াবেটিস।
তরুণদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ
অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত মেদ-ভুঁড়ি, বিশেষ করে পেটের চর্বি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের জন্য দায়ী। এতে অল্প বয়সেই ডায়াবেটিস হয়ে যায়।
শারীরিক পরিশ্রম না করা: কায়িক পরিশ্রম না করলে শরীরে ইনসুলিন কাজ করতে পারে না।
জেনেটিক বা বংশগত: টাইপ ২ ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে শিশুদের ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
খাদ্যাভ্যাস: প্রক্রিয়াজাত শর্করাজাতীয় খাবার ওজন বাড়িয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
» শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আনা।
» প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করা।
» খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি এবং সবুজ ফল যোগ করা।
» যে খাবারগুলো সহজে রক্তে মেশে না, তেমন খাবার খাওয়া।
» চিনি, মিষ্টি ও প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার কম পরিমাণে খাওয়া।
» রাতে খুব বেশি না জেগে থাকা এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো।
চিকিৎসা
» জীবনযাত্রার পরিবর্তন।
» খাদ্যাভ্যাস ও হাঁটাচলা নিয়ন্ত্রণে না আনলে কিছু ওষুধ দরকার হতে পারে।
» রোগ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করানো হলে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা থেকে বাঁচা যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ক্রাইম জোন ২৪
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]